অনেকেই ভাতের সাথে কাঁচা লবণ খেতে পছন্দ করেন। তরকারিতে যতই লবণ থাকুক না কেন, আলাদা করে ভাতে একটু লবণ না মেশালে কেউ কেউ খেতেই পারেন না। অনেকে আবার ভাত ছাড়াও অন্যান্য খাবারেও আলাদা করে লবণ ছড়িয়ে খেতে পছন্দ করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের অভ্যাস একদমই স্বাস্থ্যকর নয়। এর থেকে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই যে কোনও বয়সের ব্যক্তিকেই কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন জরুরি।
কাঁচা লবণ খেলে যেসব সমস্যা বাড়ে-
১. লবণে সোডিয়াম থাকে। এই খনিজ শরীরে বেশি পরিমাণে থাকা ভালো নয়। শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বাড়লে রক্তনালী শক্ত হয়ে যায়। এর ফলে রক্তপ্রবাহের সময় তা স্বাভাবিক নিয়মে সংকুচিত বা প্রসারিত হতে পারে না। এই কারণেই মূলত উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ এমন এক নীরব ঘাতক যা ধীরে ধীরে শরীরে নানা জটিলতা তৈরি করে।
২. উচ্চ রক্তচাপ বাড়লে কিডনি, হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক এবং চোখের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এক্ষেত্রে দীর্ঘদিন উচ্চ রক্তচাপ বেশি থাকার কারণে ক্রনিক কিডনি ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। আবার রক্তচাপ বেশি থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকিও দেখা দেয়। এ কারণে লবণ খাওয়া নিয়ন্ত্রণ জরুরি।
৩. অনেকে মনে করেন বিট নুন বা সৈন্ধব লবণে অতটা ক্ষতি হয় না। কিন্তু এই ধারণা ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের লবণেও রয়েছে সোডিয়ামের ভাণ্ডার। তাই বিট নুন বা সৈন্ধব লবণ খেলেও সমস্যা হতে পারে।
৪. ক্লিনিক্যাল ইনভেস্টিগেইশন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা থেকে জানা যায়, অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার তৃষ্ণা কমায় এবং ক্ষুধা বাড়ায়। বাড়তি লবণ সব দিক থেকেই শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’য়ের স্বাস্থ্য গবেষকদের মতে, পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দৈনিক দুই চা-চামচ লবণ খাওয়া দরকার। ভারতীয় বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: আশিস মিত্রের মতে, একজন ব্যক্তি দিনে ৪ থেকে ৭ গ্রাম লবণ খেতে পারেন। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের দৈনিক আধা চা-চামচের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়।