সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হলেও বর্তমান মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী নিজের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে নাটকীয়তা বজায় রেখেছেন। তাঁর নির্বাচন-সংক্রান্ত ঘোষণা সম্পর্কে জানতে দলীয় কর্মী ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, এমনকি নগরবাসীও অপেক্ষায় রয়েছেন। কারণ, তাঁর প্রার্থী হওয়া-না হওয়ার মধ্যে রয়েছে অনেক হিসাব-নিকাশ।
যুক্তরাজ্য থেকে ‘সংকেত’ নিয়ে গত ১৮ এপ্রিল দেশে ফিরেছেন আরিফুল হক। দু-চার দিনের মধ্যে সেই সংকেত লাল না সবুজ অর্থাৎ নির্বাচন করবেন কিনা– সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। এরপর ১০ দিন পেরিয়েছে। তবে আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে তিনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠজন জানিয়েছেন।
তবে আরিফুল হক ঘুরেফিরে একই কথা বলছেন– তাঁর দল নির্বাচনে যাবে না; এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। ফলে তিনি কী করবেন সেটা সময় বলে দেবে। নগরীর ভোটাররা তাঁকে দুইবার নির্বাচিত করেছেন। তাঁদের মতামত গুরুত্বপূর্ণ। ভোটার, শুভানুধ্যায়ী ও সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে কয়েক দিনের মধ্যে অবস্থান স্পষ্ট করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা ও প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আরিফুল হকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছেন তাঁরা। তিনি বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখায় সবার মধ্যে আরও আগ্রহ বাড়ছে বলে মনে করেন নগরীর দরগা মহল্লা এলাকার বাসিন্দা আবুল বাশার। তিনি বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগের সমর্থক নন দাবি করে বলেন, মেয়র আরিফুল হককে নিয়ে প্রত্যেকের আগ্রহ রয়েছে। তিনি নগরীর মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে আছেন। বাশার অবশ্য মনে করেন, তাঁর ঘোষণার বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা উচিত হচ্ছে না। বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী হ্যাটট্রিক জয়ের লক্ষ্য নিয়েই নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁর দল নির্বাচনে না যাওয়ায় অনেকটা বেকায়দায় পড়েছেন তিনি। বিএনপি উন্মুক্ত নির্বাচনের সুযোগ দেয় কিনা, সে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে কিছুটা সময় নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি তিনি যুক্তরাজ্য সফর করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেন। তারেক তাঁকে সংকেত দিয়েছেন বলে পরে ঘোষণা করেন তিনি।