বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) জানিয়েছে, পরিকল্পিতভাবে লবণ উৎপাদন শুরু হওয়ার পর গত ৬২ বছরের মধ্যে চলতি মৌসুমে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ উৎপাদন হয়েছে। ১৯৬১ সাল থেকে বিসিকের মাধ্যমেই দেশে পরিকল্পিতভাবে লবণ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়।
আজ বুধবার বিসিক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত মঙ্গলবার ১০ হাজার ৯৩০ টন লবণ উৎপাদনের মাধ্যমে চলতি মৌসুমে মোট লবণ উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ লাখ ৩৯ হাজার টন। যা ৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত বছর উৎপাদন হয় ১৮ লাখ ৩২ হাজার টন। চলতি মৌসুমে চাষের জমির পরিমাণ ৬৬ হাজার ৪২৪ একর। গত বছরের তুলনায় চাষের জমি বেড়েছে তিন হাজার ১৩৩ একর। চলতি লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদন চলমান রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ২০ লাখ টনের বেশি উৎপাদন সম্ভব হবে।
বিসিক জানায়, বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থিত বিসিকের লবণ শিল্পের উন্নয়ন কর্মসূচি কার্যালয়ের আওতাধীন ১২টি লবণ কেন্দ্রের মাধ্যমে কক্সবাজারের সব উপজেলায় এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে লবণ চাষের জন্য চাষিদের প্রশিক্ষণ, ঋণ প্রদান এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণসহ সার্বিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। লবণ আমদানি না করে দেশে উৎপাদনের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে চলতি লবণ মৌসুমে এক মাস আগেই লবণ চাষিদেরকে মাঠে নামানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, লবণ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আধুনিক পদ্ধতিতে লবণ চাষিদেরকে অগ্রিম লবণ চাষে উদ্বুদ্ধ করা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া, লবণ চাষের নতুন এলাকা চিহ্নিত করা, সহজ শর্তে লবণ চাষিদের ঋণ প্রদান, লবণ উৎপাদন, মজুদ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিতভাবে মনিটরিংসহ নানা উদ্যোগ রয়েছে।