নুসরাত ফারিয়া। তারকা অভিনেত্রী, মডেল, উপস্থাপক ও কণ্ঠশিল্পী। এবারের ঈদে আরও একবার দেখা মিলবে কণ্ঠশিল্পী ফারিয়ার। গানের পাশাপাশি একাধিক সিনেমার কাজ নিয়ে কাটছে তাঁর ব্যস্ত সময়। বিনোদনের নানা মাধ্যমে নিজেকে তুলে ধরা, তারকাখ্যাতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে–
টিজার প্রকাশের এক মাস পর আপনার নতুন গান ‘বুঝি না তো তাই’ মুক্তি পাবে– এমন পরিকল্পনার কারণ কী?
উৎসবে মানুষ যে ধরনের গান শুনতে চায়, ‘বুঝি না তো তাই’ তেমনই একটি গান। এ জন্য চাইছি ঈদ আরেকটু ঘনিয়ে আসুক, উৎসব আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে যাক, তারপর গান রিলিজ করব। টিজারেও গান রিলিজের তারিখ দেওয়া আছে। তারপরও ভক্তদের বলব, আরেকটু ধৈর্য ধরুন, ঈদের আগেই ‘বুঝি না তো তাই’ গানটি শুনতে পাবেন।
শুনলাম, নতুন গান নিয়ে অনেক নিরীক্ষা চালিয়েছেন?
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে হলে নতুন ভাবনা থেকে যে কোনো আয়োজন করা উচিত। আমিও চেয়েছি এবার আয়োজনে দর্শক-শ্রোতা যেন নতুন এক নুসরাত ফারিয়াকে খুঁজে পায়। সে জন্যই ‘বুঝি না তো তাই’ গানে সহশিল্পী হিসেবে বেছে নিয়েছি ব্রিটিশ র্যাপার ও কণ্ঠশিল্পী মামজি স্টেনজারকে। বাঁধনের লেখা এই গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন বলিউডের ডিজে লায়ন ও মামজি স্টেনজার। মিউজিক নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট চালালেও গায়কির নিজস্ব প্যাটার্ন থেকে সরে আসিনি। ভিডিওতে পরিচালক বাবা যাদব আমাকে ভিন্ন লুকে তুলে ক্যামেরাবন্দি করেছেন। সব মিলিয়ে গানটি অনেকের ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।
গান প্রকাশ পেলেও ঈদে কোনো ছবি মুক্তি পাচ্ছে না। এ বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
সব ঈদে সিনেমা মুক্তি পাবে– এমন কোনো কথা নেই। ভালো ছবি হলে বছরের যে কোনো সময় মুক্তি পেলেও দর্শক তা দেখবে। তবে ঈদ আমাদের বড় উৎসব, যে উৎসবের কোনো আয়োজনে থাকতে পারলে ভালো লাগে। সে জন্যই এই ঈদে আমার চতুর্থ একক গান রিলিজ করছি। টিভি আয়োজনেও থাকব।
‘পটাকা’ থেকে শুরু করে আপনার প্রতিটি গান নিয়ে নানা রকম আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। এবারের গানটি নিয়েও তেমন কিছু হবে বলে মনে হয়?
যাঁর কাছে প্রত্যাশা থাকে, তাঁর কাজ নিয়েই আসলে আলোচনা-সমালোচনা বেশি হয়। তাই বিষয়টা পজিটিভ দেখি। এটাও সত্যি, আপনি যত বড় তারকাই হোন না কেন, আপনার কাজ নিয়ে নানাজন নানা রকম মন্তব্য করবেই। নতুন গান, নাটক, সিনেমা– যার কথাই বলুন, তা কিছু মানুষের ভালো লাগবে, আবার কারও কারও মনে আঁচড় কাটতে ব্যর্থ হবে। এসব মেনেই বিনোদনে কাজ করছি।
আপনার নতুন ছবিগুলোর খবর কী?
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’-এর পাশাপাশি কলকাতার ছবি ‘আবারও বিবাহ অভিযান’, ‘রকস্টার’ এবং ওয়েব সিরিজ ‘আবার প্রলয়’-এর শুটিং শেষ। ‘পাতালঘর’ ছবির কাজ শেষ হয়েছে আরও আগে। কয়েকটি উৎসবে প্রদর্শনের পর ‘পাতালঘর’ অনেকের প্রশংসাও পেয়েছে। এখন ব্যস্ত আনম বিশ্বাসের ‘ফুটবল ৭১’ নিয়ে। এটি আমার আরেকটি ব্যতিক্রমী কাজ।
এখন কি গ্ল্যামারপ্রধান চরিত্র থেকে সরে আসার চেষ্টা করছেন?
‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’, ‘ফুটবল ৭১’, ‘পাতালঘর’ ছবিগুলোয় অভিনয় করেছি বলেই হয়তো মনে হচ্ছে, গ্ল্যামার চরিত্র থেকে সরে আসছি। আসলে তা নয়, গল্পের প্রয়োজনেই গ্ল্যামার চরিত্র ও রোমান্টিক নায়িকার খোলস থেকে বের হতে চেয়েছি। একজন পরিণত শিল্পী হয়ে উঠতে যা কিছু করা দরকার, তার চেষ্টা করে যাচ্ছি; যাতে দর্শক অভিনয়শিল্পী হিসেবেই আমাকে মনে রাখেন। শীর্ষ অভিনেত্রী, জনপ্রিয় তারকা– এ শব্দগুলো নিয়ে ভাবছি না।