সৌদি আরব প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালকবিহীন বৈদ্যুতিক গাড়ি চালুর ঘোষণা দিয়েছে। দুর্ঘটনা কমানো, পরিবহন খাতের উন্নয়ন ও পরিবেশ সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে সৌদি সরকার বৈদ্যুতিক গাড়ি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশই এর আগে চালকবিহীন গাড়ি চালু করেছে। খবর গালফ বিজনেসের।
দেশটির পরিবহন উপমন্ত্রী রুমাইহ আল রুমাইহ সম্প্রতি রাজধানী রিয়াদের বিজনেস ফ্রন্টে ‘ধাহাইনা’ (স্মার্ট) শীর্ষক একটি প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে চালকবিহীন গাড়ির উদ্বোধন করেন। রিয়াদ বিজনেস ফ্রন্টের মালিক আরওএসএইচএন গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটি হাঁটার সুবিধাযুক্ত পথ ও পরিবেশবান্ধব যোগাযোগের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে।
সৌদি সরকারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল, দেশটিতে চালকবিহীন গাড়ি সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেনতা বৃদ্ধি করা এবং এই গাড়ির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো। বলা হচ্ছে, এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ মাত্র। শিগগিরই চালকবিহীন গাড়ি চালুর বিষয়ে একটি নতুন নীতিমালা তৈরি করা হবে। চালকবিহীন গাড়ি চালুর উদ্যোগটি সমসাময়িক পরিবহনব্যবস্থাকে সহজতর করবে এবং ভবিষ্যতে যোগাযোগব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে। আল রুমাইহ চালকবিহীন বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রবর্তনের কৌশল এবং পরিবহনশিল্পে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
পরীক্ষামূলকভাবে বৈদ্যুতিক গাড়ি চালুর বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য হলো, পরিবহন–সম্পর্কিত দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা কমিয়ে আনা, অভ্যন্তরীণ গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশের ওপর পরিবহন খাতের প্রভাব কমিয়ে আনা।
আরওএসএইচএন গ্রুপের প্রধান উন্নয়ন কর্মকর্তা ওসামা কাব্বানি বলেছেন, ধাহাইনা উদ্যোগটি সৌদি আরবের পরিবহন খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি জানান, তাঁরা রাজ্যজুড়ে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব হিসেবেও কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দেশটির সরকার এখন নতুন প্রযুক্তিনির্ভর চালকবিহীন বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে পরিকল্পনা ও যথাযথ নীতিমালা প্রণয়ন করবে। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা, সহজতর পদ্ধতি প্রণয়ন এবং বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
সৌদি আরবের পরিবহন মন্ত্রণালয় নতুন পরিবহন পদ্ধতি গ্রহণের জন্য স্থল, রেল, সমুদ্র, বিমান পরিবহনসহ সব ধরনের পরিবহন খাতের বিভিন্ন ধরনের আধুনিক প্রযুক্তির সংযোগ ঘটানোর চেষ্টা করছে। তাদের লক্ষ্য, প্রতিটি খাতে উপযুক্ত নিয়ন্ত্রণ কাঠামো গড়ে তোলা, পর্যায়ক্রমে সেগুলো পরীক্ষা–নিরীক্ষা, বেসরকারি খাতের ক্ষমতায়ন বাড়ানো, বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা আরও জোরদার করা।