যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য এই তিন দেশের নেতারা অস্ট্রেলিয়াকে পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন দেওয়ার পরিকল্পনার বিষয়টি সামনে এনেছেন। এ নিয়ে এক বৈঠকে তারা একমত প্রকাশ করেন। একে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ওপর বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়োগোর নৌঘাঁটিতে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। বৈঠকে তারা তিন দেশের সমন্বয়ে গড়া প্রতিরক্ষা জোট এইউকেইউএস চুক্তিতে সমর্থনের কথা বলেন।
মার্কিন কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এইউকেইউএস চুক্তির ফলে অস্ট্রেলিয়া ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তিনটি পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন কিনবে। প্রয়োজনে তারা আরও দুটি সাবমেরিন কিনতে পারবে। এ চুক্তির কয়েকটি ধাপ থাকবে। এর মধ্যে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই অন্তত একটি সাবমেরিন পাবে অস্ট্রেলিয়া। ২০৩০ সালের মধ্যে নতুন প্রযুক্তির সাবমেরিন অস্ট্রেলিয়াকে দেওয়া হবে। এসব সাবমেরিন তৈরি হবে যুক্তরাজ্যের নকশা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিতে।
চুক্তি অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে প্রতিরক্ষা জোরদারে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সাবমেরিন মোতায়েন করা হবে। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার ক্রুরা প্রশিক্ষণ নেবেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় একটি সাবমেরিন মোতায়েনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপরের কয়েক বছরে সেখানে চারটি মার্কিন ও যুক্তরাজ্যের একটি সাবমেরিন মোতায়েন করা হবে।
১৯৫০ সালের পর এই প্রথম এইউকেইউএস চুক্তির মাধ্যমে ওয়াশিংটন তাদের পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন প্রযুক্তি কাউকে দিতে যাচ্ছে।
চীনের পক্ষ থেকে এইউকেইউএস নিয়ে নিন্দা করে বলা হয়েছে, এটি পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তারে অবৈধ চুক্তি। এ চুক্তির মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য মিলিতভাবে অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন পেতে সুযোগ করে দিয়েছে।