আরও এক মাস বন্ধ থাকবে চবি চারুকলা ইনস্টিটিউট

0
136

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের বন্ধের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুরের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৫৪২তম সভায় (জরুরি সভা) গৃহীত ‘সিদ্ধান্ত-১’ এর আলোকে গঠিত কমিটির তত্ত্বাবধানে চারুকলা ইনস্টিটিউটের অভ্যন্তরে অবস্থিত একাডেমিক ভবন, আবাসিক হোস্টেল, অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কার কাজসমূহ চলমান রয়েছে। চলমান উন্নয়ন ও সংস্কার কাজসমূহ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত গঠিত কমিটি কর্তৃক সময় বৃদ্ধি করার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিটির কার্যকাল আগামী ৩০ মার্চ ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।

ইনস্টিটিউট বন্ধ থাকা অবস্থায় তিনটি বিধি নিষেধ কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। বিধি নিষেধগুলো হল সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে এবং উক্ত সময়ে অনলাইন ক্লাস চালু থাকবে, ইনস্টিটিউটের আওতাধীন শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেলও বন্ধ থাকবে এবং চারুকলা ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাস ও হোস্টেল বন্ধ থাকাকালীন সময়ে কোনো শিক্ষার্থী চারুকলা ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবে না।

এ বিষয়ে ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী জহির রায়হান বলেন,’এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চরম ব্যর্থতার পরিচয়। তাদের অপারগতার বহিঃপ্রকাশই হলো আরেকটা মাস চাওয়া। এরপর আবার রমজানের বন্ধ। তাহলে প্রায় ছয় মাস গড়িয়ে যাচ্ছে আন্দোলন।’

তিনি বলেন,’ইনস্টিটিউট বন্ধ ঘোষণা করে আবার শিক্ষার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। এটি আসলে আন্দোলন বন্ধের প্রচেষ্টা। তবে আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।’

এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি বিকেল পাঁচটায় উপাচার্য শিরীণ আখতারের ডাকা জরুরী সিন্ডিকেট সভায় চারুকলা ইনস্টিটিউট এক মাস বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। সেদিন রাত দশটার মধ্যে শিল্পী রশিদ চৌধুরী ছাত্রদের হোস্টেল ত্যাগ করতে বলা হয় শিক্ষার্থীদের। ওইদিন রাতেই দশটার পর হোস্টেল ওয়ার্ডেনের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় হোস্টেল ত্যাগ করেন ছাত্ররা। এর পর মূল ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। গত ০৯ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনের ১০০তম দিনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাধা ও হামলা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

গত বছরের দুই নভেম্বর থেকে শুরু হয় চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের আন্দোলন। প্রথমে বিদ্যমান ক্যাম্পাস সংস্কার ও আবাসিক হলের ব্যবস্থসহ ২২ দাবিতে আন্দোলন করলেও পরে তারা মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.