আওয়ামী লীগ নেতা ও রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম আবেদনে ট্রেনটি নলডাঙ্গার বিরকুৎসা থেকে ছাড়ার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ নাটোর স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ার কাগজপত্র পাঠায়। যথারীতি ট্রেনটি রাজশাহী থেকে সকাল নয়টায় নাটোর স্টেশনে পৌঁছায়। এ খবরে নলডাঙ্গা উপজেলার বিরকুৎসা, মাধনগর ও নলডাঙ্গা স্টেশনে অপেক্ষমাণ হাজার হাজার নেতা-কর্মী হতাশ হন। তাঁরা এসব স্টেশনে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
মুঠোফোনে খবর পেয়ে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম নাটোর স্টেশনে আসেন। সেখানে কর্তৃপক্ষ বিরকুৎসায় ট্রেন নিতে অপারগতা জানায়। এরপর শফিকুল ইসলাম রেলমন্ত্রী, রেলসচিব ও পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন। দীর্ঘ অনুরোধের পর কর্তৃপক্ষ মাধনগর পর্যন্ত ট্রেন নিয়ে যেতে রাজি হয়। সকাল সাড়ে নয়টায় সংসদ সদস্য ট্রেনে চেপে মাধনগর যান এবং অতিরিক্ত ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা ভাড়া দেওয়ার শর্তে মাধনগর থেকে ট্রেন ছাড়ার ব্যবস্থা করেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, সকাল ১০টায় ট্রেনটি মাধনগর স্টেশনে এসে দাঁড়ানোর পর জনসভাগামী যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ট্রেনে ওঠেন। সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে মাধনগর স্টেশন থেকে ছাড়ার পর ট্রেনটি নলডাঙ্গা ও বাসুদেবপুর স্টেশনে বিরতি দেয়। সেখান থেকেও দলে দলে নেতা-কর্মীরা ট্রেনে ওঠেন। নাটোর স্টেশনে পৌঁছার আগেই ট্রেনটি ভরে গেছে। ট্রেনটি নাটোর, মালঞ্চি ও আবদুলপুর থেকেও যাত্রী নেবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
ট্রেনের যাত্রী জহুরুল ইসলাম জানান, তিনি নলডাঙ্গা স্টেশন থেকে উঠেছেন। তখনই ট্রেনের অধিকাংশ আসন পূর্ণ হয়ে ছিল। বাকি স্টেশনে যাত্রী উঠলে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। এতে ট্রেনটির সাতটি বগিতে অন্তত তিন হাজার যাত্রী দাঁড়াবেন।
নাটোর রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার অশোক চক্রবর্তী জানান, সিল্কসিটি ট্রেনটি সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় সেটি বিশেষ ট্রেন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ট্রেনটির আসনসংখ্যা ৭৩৫। এ হিসাবে নাটোর-রাজশাহীর ভাড়া নির্ধারণ করে তাঁর কাছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৩২৪ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। তিনি ভাড়ার টাকা রেলের ট্রেজারিতে জমাও দিয়েছেন। ট্রেনটি চলাচলে অন্য ট্রেনের সময়সূচিতে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। বিশেষ ট্রেনটি রাজশাহী থেকে সাড়ে বিকেল পাঁচটার সময় ফেরার কথা রয়েছে।