আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদসহ বিভিন্ন পদে মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়। ৮১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির অধিকাংশই এবারের কমিটিতে আছেন। সামান্য রদবদল আনা হয়েছে। এছাড়া নির্বাহী সদস্যসহ কিছু পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে।
প্রেসিডিয়াম সদস্য (সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য) পদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে। আর প্রেসিডিয়াম থেকে বাদ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত করা হয়েছে নুরুল ইসলাম নাহিদকে।
প্রেসিডিয়াম সদস্য থেকে আরেকজন বাদ পড়েছেন। তিনি হলেন আবদুল মান্নান খান। প্রেসিডিয়ামে দুটি ফাঁকা পদ ফাঁকা রয়েছে। দলের গঠনতন্ত্রে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সভাপতিমণ্ডলীতে পদ আছে ১৯টি।
এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নতুন মুখ এসেছেন একজন। ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। এ পদ থেকে বাদ পড়েছেন সাখাওয়াত হোসেন শফিক।
আরেকটি পরিবর্তন দেখা গেছে। প্রচার ও প্রকাশনা উপ-সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক করা হয়েছে।
সম্পাদকমণ্ডলীতে দুটি পদে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বাদ পড়েছেন শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ ও যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশীদ। এ দুই পদে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। আর উপপ্রচার সম্পাদকের পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে। অর্থাৎ সম্পাদকমণ্ডলীর তিনটি পদ ফাঁকা আছে।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এছাড়া ২৮ সদস্যের নির্বাহী সদস্যের কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকের পর নির্বাহী সদস্যদের পদ পূরণ করা হবে।
শনিবার বিকেল তিনটায় রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। অধিবেশনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন। এই প্রস্তাব সমর্থন করেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।
কাউন্সিলে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগ নেতা ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তার নাম প্রস্তাব সমর্থন করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ। পরে কাউন্সিলে এ প্রস্তাব গৃহীত হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। পরে বিকেল তিনটার দিকে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়।
এই অধিবেশনে সারা দেশ থেকে আসা প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর অংশ নেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতে দলটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়।