মাহিয়া দক্ষিণ সাইরার ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। গত ৩০ নভেম্বর নিখোঁজ হয় সে। পরে তাকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে মুঠোফোনে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। লবণপানিতে ফেলে দেওয়ার কারণে লাশটি অনেকটাই পচে বিকৃত হয়ে গেছে। পরনের কাপড়ের সূত্র ধরে লাশটি শনাক্ত করেন তার বাবা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পর হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় মাহিয়া। ওই দিন সন্ধ্যায় তার বাবাকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি ফোন করে জানান মাহিয়াকে অপহরণ করা হয়েছে। তাকে ফিরে পেতে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। এ ঘটনায় মহেশখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মাহিয়ার বাবা। বিষয়টি তদন্তের পর এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করে পুলিশ। মুঠোফোন নম্বরের সূত্র ধরে আটক করা হয় এক নারীসহ তিনজনকে।
মহেশখালী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানার বন্দরটিলার ওয়াজ মুন্সিবাড়ি এলাকার বাসা থেকে বেরিয়ে আলিনা ইসলাম আয়াত একটি মক্তবে পড়তে যায়। পরে পরিবার জানতে পারে শিশুটি মক্তবে যায়নি। উৎকণ্ঠায় থাকা পরিবার ১০ দিন পর গত শুক্রবার জানতে পারে, তাদের সন্তান খুন হয়েছে পরিচিতজন আবির মিয়ার হাতে। আয়াত তাঁকে ডাকত চাচ্চু বলে।
পুলিশকে আবির জানান, আয়াতকে অপহরণ করেন মুক্তিপণের জন্য। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে ছয় টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দেন।
গত ৩০ নভেম্বর বন্দরটিলা আকমল আলী ঘাটসংলগ্ন স্লইসগেট এলাকা থেকে দুটি পা এবং পরদিন একই এলাকা থেকে আলিনার মাথা উদ্ধার করে পিবিআই।