৬ বছর পর কাতার ও আমিরাতের দূতাবাস চালু

0
166
কাতারের রাজধানী দোহার কূটনৈতিক এলাকা, ফাইল ছবি: রয়টার্স

কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া বেশ কিছুদিন আগেই শুরু করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। এবার সেই প্রক্রিয়া আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। আজ সোমবার দুটি দেশই ঘোষণা দিয়েছে তারা একে–অপরের ভূখণ্ডে আবারও দূতাবাস চালু করতে যাচ্ছে।

এর আগে ২০১৭ সালে সৌদি আরবের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর। তারা কাতারের ওপর কূটনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছিল। তখন এই দেশগুলো দাবি করেছিল, ইরানের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছে কাতার। ইরান-কাতার কট্টরপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিচ্ছে। এই অবরোধ আরোপের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।

বলা যায়, এই অবরোধের ফলে কাতার খানিকটা একঘরে হয়ে পড়ে আরব বিশ্বে। তবে প্রতিবেশীদের সঙ্গে এই সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে। ওই বছর দুই দেশের মধ্যে আবারও আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ শুরু হয়। এর প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর দুই দেশের মধ্যে আবার কূটনৈতিক যোগাযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে।

আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএম বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত—দুই দেশ তাদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে। কাতারের দোহায় দূতাবাস চালু করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর আমিরাতের আবুধাবিতে দূতাবাস ও দুবাইয়ে কনস্যুলেট চালু করছে কাতার।

ঠিক একই বিবৃতি দিয়েছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শুধু কাতারের সঙ্গে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে এমনটা নয়। গত মার্চে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সৌদি আরব। চলতি মাসে রিয়াদে দূতাবাস চালু করেছে ইরান। এরপর গত শনিবার ইরান সফর করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান। এ সময় তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.