আয়োজন–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও সেনবাগ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে অর্থের অভাবে বিয়ে করতে পারছেন না—এমন গরিব ও অসচ্ছল ২০ জন তরুণ-তরুণীকে বাছাই করা হয়। এরপর স্থানীয়ভাবে বিয়ের কাবিনসহ অন্যান্য বিষয় চূড়ান্ত করা হয়। শেষে নির্ধারণ করা হয় গণবিবাহের দিনক্ষণ। সেই অনুযায়ী চলে বিয়ের অনুষ্ঠান এবং এ উপলক্ষে মেজবানের প্রস্তুতির আয়োজন।
আয়োজকেরা জানান, বিয়েতে বর–কনের সাজসজ্জার সব সামগ্রী গতকাল শুক্রবার পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিয়েতে বরকে উপহার দেওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা এবং কনেকে দেওয়া হয় আধা ভরি ওজনের সোনার গয়না।
আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আউয়াল বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হতদরিদ্র মানুষকে এনে খাওয়ানো এবং পুনরায় গন্তব্যে পৌঁছে দিতে ভাড়া করা হয় ১৮টি বাস। সব মিলে প্রায় ১০ হাজার মানুষ এই গণবিবাহের অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত মেজবানে অংশগ্রহণ করেন।
গণবিবাহের আয়োজক ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘এই মাটিতে আমার দাদা-দাদি, মা-বাবা, পূর্বপুরুষেরা ঘুমিয়ে আছেন। তাঁরা তো আমাদের অনেক দিয়েছেন বলেই আমি আজকের জায়গায় আসতে পেরেছি। তাই এখন আমাদের দেওয়ার পালা। সে জন্য কয়েক বছর ধরে ছোট পরিসরে এই কাজগুলো করছি। এবার ব্যাপ্তি বেশি ছিল।’