১১ মার্চ সব বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ

0
98
সমাবেশে বক্তব্য দেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা

গণতন্ত্র মঞ্চের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১১ মার্চ ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন কর্মসূচি করবে এই জোট।

শ‌নিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে ‘সরকার ও শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হোন’ ব্যানারে বিরোধী মতের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে দমন-পীড়ন ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন জোট নেতারা।

সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করার পরে এই সরকার দেশের ভেতরে ও বাইরে আন্তর্জাতিকভাবেও সমালোচিত হয়েছে। জাপানি রাষ্ট্রদূত দিনের ভোট রাতে হয়েছে বলেছেন। আমেরিকার বিভিন্ন প্রতিনিধিরা এদেশে বারবার আসছে- এতেই বোঝা যায় এই সরকার কতো বড় জোচ্চুরি করছে। এই সরকার আবারো বিদেশিদের বলছে- গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করবে। বিদেশিদের যতোই বোঝান আপনার অধীনে আমরা আর নির্বাচনে যাবো না। আমরা যেমন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে পারি, তেমনি দুর্বার আন্দোলনও সৃষ্টি করতে পারি। আমাদের আন্দোলন দমিয়ে রাখতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা মামলা করছে সরকার।

তি‌নি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করছি এবং অচিরেই বিএনপির সাথে গণতন্ত্র মঞ্চ সরকার পতনের একদফা কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে থাকবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ আজকেও বিরোধী দলের কর্মসূচির দিনে শান্তি সমাবেশের নামে পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছে। এই ধরনের কর্মসূচিকে জনগণ নার্ভাস দলের কর্মসূচি নাম দিয়েছেন। সন্ত্রাস না করে আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। তারা ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে সমস্ত বাংলাদেশকে বিবস্ত্র করেছে। তাই তাদের বিদায় করা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।

তিনি বলেন, রোজার আগে ও পরে গণতন্ত্র মঞ্চ বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলনে থাকবে। দুই ঈদের মাঝখানে গণআন্দোলন করে এই সরকার বিদায় করবো। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বিএনপির সাথে গণতন্ত্র মঞ্চ যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণা করবে। বিজয় অর্জন ছাড়া মানুষ ঘরে ফিরবে না।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আজকে আমরা যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে পদযাত্রা করছি। আমরা আজকে এমন একটি সরকার ব্যবস্থায় আছি যারা সমস্ত জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে জনগণকে একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। তারা কীভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা যায় ও নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করা যায় তা নিয়ে ব্যস্ত।

সভাপতির বক্তব্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ইতোমধ্যে সরকার সংলাপের বিষয়ে কথাবার্তা শুরু করেছে। আগে আপনাদের পদত্যাগ করতে হবে, তাহলে আমরা বিবেচনা করবো- আপনাদের সাথে আলোচনায় যাবো কিনা। বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

অবিলম্বে আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ ১৪ দফার ডাক দিয়েছি। তা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডির) সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, আজকে জনগণ কী দুঃসহ জীবনযাপন করছে তা সবাই জানেন। প্রতিদিন নিয়ন্ত্রণহীনভাবে সরকার জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে। এই মাফিয়া সরকারের জনগণকে নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। তাই জনগণকে বাঁচতে হলে লড়াই করা ছাড়া কোনো বিকল্প নাই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.