জামায়াতে ইসলামী কাল সোমবার ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনো পুলিশের অনুমতি পায়নি। গত ২৯ মে বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে জামায়াত।
এদিকে রোববার ডিএমপির অতিরিক্ত হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, কর্মদিবস হওয়ায় জনদুর্ভোগ এড়াতে জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে মিছিল সমাবেশের জন্য জমায়েতের চেষ্টা করলে, জানমালের ক্ষতি করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ রোববার রাতে বলেন, সমাবেশের অনুমতি না দেওয়া অসাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকারবিরোধী। জামায়াত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল সমাবেশ করতে অনুমতি চেয়েছে। এখনও আশা করছি অনুমতি দেবে পুলিশ।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচবার ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করে জামায়াত। আগের চারবার অনুমতি না পাওয়ায় সমাবেশ করেনি। জমায়েত ঠেকাতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মাঠে নামলেও, জামায়াত ঘোষিত সমাবেশস্থলে যায়নি।
পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, জামায়াত অতীতে সমাবেশের নামে সহিংসতা করেছে। রাস্তায় নেমে পুলিশকে মারধর করেছে। তারা সমাবেশের অনুমতি নেওয়ার নামে আলোচনায় থাকতে চাইছে। নিবন্ধন হারানো জামায়াত হঠাৎ কেনো সমাবেশ ডেকেছে তা স্পষ্ট নয়। কারো ইন্ধনে সমাবেশ করবেন কিনা, অসৎ উদ্দেশ্য আছে কিনা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
এ বিষয়ে সাবেক এমপি ডা. তাহের বলেছেন, জামায়াত একটি বৈধ রাজনৈতিক দল। সমাবেশ করতে নিবন্ধন লাগে না। সভা-সমাবেশ করা রাজনৈতিক দলের অধিকার। কারো ইন্ধন থাকবে কেনো?
এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, নেতাকর্মীদের মুক্তি, দ্রব্যমূল্য কমানোসহ বিভিন্ন দাবিতে সমাবেশের অনুমতি চাইতে গত ২৯ মে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের চার জন প্রতিনিধি ডিএমপিতে গেলে তাদের আটক করে পুলিশ। ঘণ্টা তিনেক পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।