সাডেন ডেথে কুয়েতকে হতাশায় ডুবিয়ে সাফের শিরোপা ভারতেরই

0
107
কুয়েতকে টাইব্রেকারের রোমাঞ্চে হারিয়ে সাফের শিরোপা ভারতের, ছবি: সাফ

দর্শকে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়াম। ভারতের জয় দেখতে গ্যালারিতে ভিড় করেছিলেন ২৬ হাজার ফুটবলপ্রেমী। ১২০ মিনিট ১-১ সমতা শেষে ভারতের সমর্থকেরা তৃপ্তি নিয়েই ছেড়েছেন মাঠ। কুয়েতকে টাইব্রেকারের ভাগ্য পরীক্ষায় হারিয়ে শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ধরে রেখেছে স্বাগতিক দল।

এর আগে ২০০৩ সালে সাফের ফাইনাল দেখেছিল টাইব্রেকার। মালদ্বীপকে হারিয়ে সেবার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে ঢাকাতেই টাইব্রেকারে মালদ্বীপকে হারায় ভারত। ১৪ বছর পর ভারতকে সাফের আরেকটি টাইব্রেকারে শিরোপা জেতাতে শেষ বেলায় নায়ক হয়ে ওঠেন ভারতের গোলকিপার গুরপ্রীত সিং। টাইব্রেকারে ৪-৪ শেষে সাডেন ডেথে কুয়েতের প্রথম শটটা আটকে তিনি দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। তার আগে টাইব্রেকারে ৫ শটে দুই দলই করেছে ৪টি করে গোল। কুয়েত প্রথম শটে গোল করতে পারেনি, ভারত পারেনি চতুর্থ শটে গোল করতে।

সাফে নবমবারের মতো শিরোপা ভারতের
সাফে নবমবারের মতো শিরোপা ভারতের, ছবি: সাফ

১৪তম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের প্রথম অবশ্য গোলটা করেছিল কুয়েত। ১৪ মিনিটে শাবিব আল খালদির গোলে ১-০। ভারতের সমর্থকেরা স্তব্ধ হয়ে যান কিছু সময়ের জন্য। ৩৮ মিনিটে লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের গোলে ভারত ম্যাচে ফিরলে আবার প্রাণ ফেরে গ্যালারিতে। এরপর নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আর গোল হয়নি। অতিরিক্ত সময়ও দেখেনি কোনো গোল।

টাইব্রেকারে ভারতের নায়ক গোলকিপার গুরপ্রীত সিং
টাইব্রেকারে ভারতের নায়ক গোলকিপার গুরপ্রীত সিং, ছবি: সাফ

এর আগে প্রথম সেমিতে কুয়েত অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে গোল করে হারায় বাংলাদেশকে (১-০)। টাইব্রেকারে লেবাননকে হারিয়ে ভারত এসেছে ফাইনালে। অর্থাৎ টানা দুটি ম্যাচ তারা জিতেছে টাইব্রেকারে। সাফে এটি ছিল তাদের ১৩তম ফাইনাল। ২০০৩ সালে শুধু একবারই ফাইনালই খেলতে পারেনি ভারত। আটবারই তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সর্বশেষ ২০২১ সালে চ্যাম্পিয়নও ভারত। এ নিয়ে সাফে নবম শিরোপা জয় সুনীল ছেত্রীর দলের।

দক্ষিণ এশিয়ায় দেশগুলোর মধ্য নিজেদের আর প্রমাণের কিছু নেই ভারতের। তাই ভারতের প্রস্তাবেই এই প্রথম সাফে দুটি অতিথি দল নিয়েছে আয়োজকেরা। সেই দুই অতিথির একটি লেবানন, অন্যটি কুয়েত। ফাইনালে কুয়েতের সঙ্গে লড়াই করে টাইব্রেকারে জয় ছিনিয়ে নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বটা ধরে রাখল ভারত।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.