লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দারনা শহরে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৩০০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ সংখ্যা ২০ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শহরটির মেয়র। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। সাগরে ভেসে আসছে একের পর এক লাশ। খবর আল-জাজিরার
লিবিয়া রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার ৩০০ দাঁড়িয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা চলছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
দারনার মেয়র আবদুলমেনাম আল-গাইথি বলেন, মৃতের সংখ্যা ২০ হাজারে পৌঁছাতে পরে। কারণ বন্যায় শহরটির একটি অংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার তাণ্ডবে লিবিয়াজুড়ে বিস্তৃত এলাকায় ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। তবে ওই দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দারনা শহরটি।
এদিকে, লিবিয়ায় কার্যকর আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র থাকলে বন্যায় অনেক মানুষের প্রাণহানি ঠেকানো যেত বলে মনে করে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে এর আগে দেশটিতে পূর্বাভাস ব্যবস্থা স্থাপনে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) মহাসচিব পেটেরি তালাস সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বলেন, সতর্কতা জারি করা গেলে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হতো। তালাস বলেন, তারা এর আগে আবহাওয়া ব্যবস্থার সংস্কারে লিবিয়ার কর্তৃপক্ষকে সহায়তার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু নিরাপত্তা হুমকির কারণে তা বাধাগ্রস্ত হয়। দেশটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই জটিল হওয়ায় সেখানে গিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি করা দুরূহ।
তবে লিবিয়ার আবহাওয়া কেন্দ্রের দাবি, তারা কর্তৃপক্ষকে ঝড় ও বন্যার বিষয়ে সতর্ক করেছে। জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র সপ্তাহের শুরুতে এক বিবৃতিতে বন্যার ৭২ ঘণ্টা আগে বৃষ্টিপাত সম্পর্কে সতর্ক করে। এই সতর্কতার ভিত্তিতে পূর্বাঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।