পেয়ারা পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। এখন সারা বছরই পেয়ারা পাওয়া যায়। পেয়ারা ভিটামিন এ, বি, কে, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস-সহ বহু গুণে সমৃদ্ধ। এই ফল বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী।
বিভিন্ন ধরনের পেয়ারা পাওয়া যায়। একটির ভিতর সাদা বা হলুদ। আর অন্যটির লালচে বা গোলাপি। অনেকেরই প্রশ্ন, সব ধরনের পেয়ারায় কি একই রকম পুষ্টিগুণ থাকে?
ভারতীয় গণমাধ্যম ‘হিন্দুস্তান টাইমসে’র এক প্রতিদেনে এ নিয়ে জানানো হয়েছে নানা তথ্য।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রক্তে শর্করার ভারসাম্য রক্ষা করতে পেয়ারা দারুণ কাজে লাগে। হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও পেয়ারা উপকারী।
এছাড়াও পরিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা করে পেয়ারা। ওজন কমাতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এর বেশ কিছু উপাদান দাঁত, ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারী।
শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা বলছে, পেয়ারার বেশ কয়েকটি উপাদান ক্যান্সারের মতো মারাত্মক অসুখ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদদের মতে, গোলাপি শাঁসযুক্ত পেয়ারায় পানি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তবে অন্য পেয়ারার তুলনায় শর্করা, ভিটামিন সি-এর পরিমাণ এতে অনেকটাই কম। সাদা শাঁসযুক্ত পেয়ারায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি হলেও তা গোলাপি শাঁসযুক্ত পেয়ারার মতো নয়।
পাশাপাশি আবার ভিটামিন এ, সি, ওমেগা ৩, ওমেগা ৬ পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ডায়েটারি ফাইবারের মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মজুত থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গোলাপি শাঁসযুক্ত পেয়ারা খুব ভালো।