ঢাকার আদালতে জামিন চাইলেন মির্জা ফখরুল

0
89
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ। ঢাকা, ২৯ অক্টোবর

প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটক ভেঙে ইটপাটকেল নিক্ষেপের মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবীরা এই জামিন আবেদন করেন।

আদালতে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন করা হয়েছে। তবে জামিন আবেদনের শুনানির তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।

গত ২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন মির্জা ফখরুল। পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে জামিন আবেদন করা হয়। আদালত সেদিন তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন সেদিন আদালতকে বলেছিলেন, বিএনপির মহাসচিব অসুস্থ। রাজনৈতিকভাবে হয়রানির জন্য তাঁকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।

আরেক আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী আদালতকে বলেন, গত ২৮ অক্টোবর মির্জা ফখরুল ছিলেন পল্টন থানাধীন মহাসমাবেশের মূল মঞ্চে। রমনা থানাধীন প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটক ভাঙচুর কিংবা ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় তিনি কোনোভাবে জড়িত নন। পরিকল্পিতভাবে বিএনপির সমাবেশ ভন্ডুল করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে আদালতের কাছে দাবি করেন আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী।

আইনজীবী ইকবাল হোসেন আদালতকে বলেন, মির্জা ফখরুল শিক্ষক ছিলেন। রাজনীতি করার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে ১০২টি মামলা দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে করা প্রতিটি মামলায় তিনি নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। তিনি আদালতের প্রতি সব সময় শ্রদ্ধাশীল।

তবে মির্জা ফখরুলের জামিনের বিরোধিতা করে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু আদালতে বলেন, সমাবেশের নামে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। সারা বিশ্ব বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডব দেখেছে। তারা পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.