রাজধানীর মাতুয়াইলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ শেষে শনিবার দুপুর আড়াইটার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের (এজিবি) সদস্য মোতায়ন রয়েছে।
এর আগে দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে।
ঢাকার প্রবেশপথ যাত্রাবাড়ীতে অবস্থান নেওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাতুয়াইলে অবস্থান নেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। বিএনপির নেতাকর্মীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় তিনটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে আগুন কারা দিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, মাতুয়াইল এলাকায় তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। প্রথমে শ্রাবণ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনেন স্থানীয়রা। পরে স্বদেশ পরিবহন ও তিশা পরিবহনের বাসে আগুন দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
তিশা পরিবহনের চালক মো. সানাউল্লাহ বলেন, হঠাৎ করে মোটরসাইকেলে তিনজন এলো। দুজন গাড়ির ভেতরে ঢুকে আমাকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে দেন। এরপর পেট্রোল ঢেলে ভেতরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আশপাশে তো পুলিশও ছিল। আমি জানের ভয়ে দূরে সরে গেছি।