এবার চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক রহমত উল্লাহ। মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম সম্প্রতি এ আদেশ দেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রহমত উল্লাহর আইনজীবী তবারক হোসেন ভূঁঞা।
আইনজীবী তবারক হোসেন বলেন, তাঁর মক্কেল একজন প্রযোজক। কিন্তু চিত্রনায়ক শাকিব খান তাঁকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ জন্য তিনি আইনি প্রতিকার চেয়ে আদালতে শাকিব খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ২৭ মার্চ ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মানহানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। তাঁর করা মামলাটিও তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই মামলা করার চার দিন আগে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে চাঁদাবাজি ও মানহানির আরেকটি মামলা করেন শাকিব খান। ওই মামলায় ২৬ এপ্রিল রহমত উল্লাহকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালত।

অবশ্য শাকিব খানের করা মামলার অভিযোগের ব্যাপারে রহমত উল্লাহ বলেন, চিত্রনায়ক শাকিব খান তাঁকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। এ জন্য তিনি মামলা করেছেন। আর তাঁর বিরুদ্ধে শাকিব খান যে মামলা করেছেন, সেগুলো তিনি আইনগতভাবে মোকাবিলা করবেন।
এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার রাতে শাকিব খানের আইনজীবী খায়রুল হাসান জানান, তিনি জেনেছেন, তাঁর মক্কেল চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে নালিশি আবেদন করা হয়েছে। আদালত সেটি সরাসরি আমলে না নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে শাকিব খানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন রহমত উল্লাহ। অভিযোগে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় এক নারী সহপ্রযোজককে ধর্ষণ করেন শাকিব খান। এ সিনেমার অন্যতম প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি রহমত উল্লাহর নামে মানহানির মামলা করতে রাজধানীর গুলশান থানায় গিয়েছিলেন শাকিব খান। তবে পুলিশ তাঁকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। পরে শাকিব খান তাঁর অভিযোগ নিয়ে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। সেদিন ডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, শাকিব খানের অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে।
















