শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার প্রতিবাদে কর্মবিরতি ঘোষণা

0
22
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি

শনিবারসহ সপ্তাহের ছয় দিন দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি। একইসঙ্গে প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে সমিতির পক্ষ থেকে।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী শনিবার (১১ মে) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। এ সময়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন তারা।

সোমবার (৬ মে) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম বিপ্লব স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণার কথা জানানো হয়।

এর আগে গত ৪মে রাত ৯টায় এ বিষয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষক নেতারা বলেন, শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না রাখার জন্য শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে আগেই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যা গণমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে। এরপরও সরকারের এমন একতরফা সিদ্ধান্তে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সংক্ষুব্ধ। এ পরিস্থিতিতে প্রতিবাদস্বরূপ ‌কর্মবিরতি পালনের জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীর প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। সরকার সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে প্রতি শনিবার পুরো কর্মদিবস কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।

শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরে নেতারা বলেন, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীর সৃষ্ট নয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ হতেই পারে, আগেও হয়েছে। সে কারণে নির্ধারিত ছুটি কমিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চিকিৎসা নেওয়া, আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো, আচার-অনুষ্ঠান ও বিশ্রামসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা এবং পদক্ষেপ থাকে। একদিনের ছুটিতে যাবতীয় কাজ ও সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। এতে সামাজিক, শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা আরও বলেন, জাতীয় দিবসগুলোয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিতে হচ্ছে, অথচ সেদিন অন্যদের ছুটি। শুধু তাই নয়, শিখন ঘাটতি পূরণ করতে গত বছরের গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও শীতকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। চলতি বছর রমজানের ছুটিও কমানো হয়েছে, যা মোটেই সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি। এসব সিদ্ধান্ত নির্লিপ্ততারই বহিঃপ্রকাশ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.