শতভাগ কারখানায় বোনাস পরিশোধ: বিজিএমইএ

0
218
পোশাক শ্রমিক

ঈদ বোনাস পেয়েছেন পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএভুক্ত শতভাগ কারখানার শ্রমিকেরা। বোনাস নিয়ে সমস্যা ছিল এরকম ২৬টি কারখানার শ্রমিকদের বোনাস নিশ্চিত করা হয়েছে বিজিএমইএর সরাসরি হস্তক্ষেপে। কয়েকটি কারখানার মেশিনপত্র বিক্রির মাধ্যমে শ্রমিকদের বেতন-বোনাসসহ সব পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজিএমইএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদের আগে বেতন-ভাতা বিষয়ে সমস্যা হতে পারে— এরকম ৪৫০টি কারখানাকে ক্লোজ মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হয়। সমস্যার ধরন বুঝে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয় বিজিএমইএর পক্ষ থেকে। শ্রমিক, মালিক ও শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের  সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত সব কারখানায় বকেয়া বেতন ও বোনাস পরিশোধ করা হয়। বোনাসের পাশাপাশি এপ্রিল মাসের আংশিক বেতন অগ্রিম পরিশোধ করছে ৮২ শতাংশ বা ১ হাজার ৭৬৮টি কারখানা। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মিলে বিজিএমইএর চালু কারখানার সংখ্যা এখন ২ হাজার ১২৬টি।

তৈরি পোশাক সংক্রান্ত ত্রিপক্ষীয় পরামর্শক পরিষদের (আরএমজি টিসিসি) গত ৫ এপ্রিলের বৈঠকে ঈদের ছুটির আগেই সব কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি ঈদে ঘরমুখী মানুষের সহজ যাতায়াতের স্বার্থে ভিন্ন ভিন্ন দিনে কারখানায় ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকেই পর্যায়ক্রমে পোশাক কারখানা ছুটি দেওয়া শুরু হয়। ওই দিন ২০ শতাংশ কারখানা ছুটি ঘোষণা করে। বুধবার ৩৫ শতাংশ কারখানায় ছুটি দেওয়া হয়। বাকি ৪৫ শতাংশ কারখানায় বৃহস্পতিবার ছুটি দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সব কিছু স্বাভাবিক চললেও এপ্রিল মাসের অগ্রীম বেতন এবং বাড়তি ছুটির দাবিতে কিছু কিছু কারখানায় ভাঙচুর হয়েছে। কয়েকজন শ্রমিক নেতার ইন্ধন ও গুজব রটানোর মাধ্যমে কারখানা ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ সমাধান হওয়ায় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান সব পক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.