লিবিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের (ইসলামিক স্টেট) হয়ে হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধের দায়ে ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। এ ছাড়া ১৪ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশটির সরকারি কৌঁসুলির দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আদালত পাঁচজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আর বিচার চলার সময় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
লিবিয়ায় ২০১১ সালে গণ–অভ্যুত্থান দেখা দেয়। ওই অভ্যুত্থানে ন্যাটোর সমর্থন ছিল।
সেই সুযোগে আইএসের লিবিয়া শাখা ব্যাপক তৎপর হয়ে ওঠে। তারা ২০১৫ সালে ত্রিপোলির একটি হোটেল হামলা চালিয়ে ৯ জনকে হত্যা করে। এর আগে আইএস জঙ্গিরা বেশ কয়েকজন মিসরীয় খ্রিষ্টানকে হত্যা ও অপহরণ করে। এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ভিডিওতে ধারণ করে প্রচারও করা হয়।
আইএসের আস্তানায় তালেবানের অভিযান
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় আজদাবিয়া, দেরনা ও বেনগাজির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর আইএস জঙ্গিরা উপকূলীয় শহর সিরতে দখল করে। ২০১৬ সাল পর্যন্ত এর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে। ওই সময় ‘নৈতিকতা ভঙ্গের’ অভিযোগে বহু মানুষকে বর্বরোচিত সাজা দেওয়া হয়।
আইএসের নৃশংসতার শিকার মুস্তাফা সালেম ত্রাবুলসি নামের এক ব্যক্তি আদালতের এ রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আমার ছেলে নিখোঁজ। আমার এক আত্মীয়কে সিরতে স্কয়ারে হত্যা করা হয়েছে।’
ফাউজিয়া আরহুমা নামের আরেক ভুক্তভোগী বলেন, সিরতের কাছে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে তাঁর ছেলেকে আইএস জঙ্গিরা হত্যা করে। আদালতের এ রায়কে স্বাগত জানান সন্তানহারা এই মা।