অনেকেই লাউ শাক খেতে পছন্দ করেন। ভর্তা, ভাজি, পাতুরি, তরকারি নানাভাবে এই শাক খাওয়া যায়। একাধিক উপকারী উপাদানের খনি হচ্ছে লাউ শাক। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের কথায়, লাউ শাক ফাইবার, কার্বহাইড্রেট, ক্যালশিয়াম ও ফসফরাসের ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত এই শাক খেলে নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমন-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: লাউ শাক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। নিয়মিত এই শাক খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তাই সুস্থ-সবল থাকতে নিয়মিত এই শাক রাখুন খাদ্যতালিকায়।
হাড়ের শক্তি বাড়ে: আজকাল বয়স ৩০-এর গণ্ডি পেরতে না পেরতেই শুরু হয়ে যাচ্ছে হাড়ের ক্ষয়। বিশেষ করে নারীরা এই সমস্যায় বেশি পড়ছেন। অস্থিসন্ধির শক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে উপকারী লাউ শাক। কারণ এই শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস। এই দুই খনিজ হাড়ের শক্তি বাড়ায়।
ওজন কমায়: ওজন বাড়লে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপসহ একাধিক জটিল অসুখের আশঙ্কা বাড়ে। তাই যেভাবেই হোক ওজন কমাতে হবে। সেক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে লাউ শাক। এই শাকে উপস্থিত ফাইবারের কারণে দীর্ঘসময় পেট ভরা থাকে। ফলে বারবার খিদে পায় কম। আর কম খেলে যে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবেই, তা তো বলাই বাহুল্য! এ কারণে ওজন দ্রুত কমাতে খাদ্যতালিকায় এই শাক রাখুন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে উপকারী: রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে চোখ, কিডনি, হৃৎপিণ্ডসহ একাধিক অঙ্গের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে লাউ শাক। কারণ এই শাকে থাকা কিছু অ্যান্টিডায়াবেটিক উপাদান রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকবে: আজকাল অনেকে কম বয়সেই হৃৎরোগজনিত জটিলতায় ভূগছেন। লাউশাকে থাকা নানা পুষ্টিকর উপাদান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হৃৎপিণ্ডও সুস্থ থাকে।