রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা কমিয়ে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি। ফলে মাসিক ১২ ডলারের পরিবর্তে চলতি বছরের মার্চ থেকে ১০ ডলার করে জনপ্রতি বরাদ্দ পাচ্ছে রোহিঙ্গারা। এ পরিস্থিতিতে তাদের খাদ্য ব্যয় মেটাতে আরও ২ কোটি ৩৮ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গাদের এখনও ১০ কোটি ডলার প্রয়োজন।
আজ সোমবার মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) জানায়, মার্চ থেকে রোহিঙ্গাদের রেশন ১৭ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার কথা। রেশন কমিয়ে দেওয়া হলো এমন সময়, যখন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বড় অংশ উচ্চমাত্রার অপুষ্টিতে ভুগছে। এপ্রিলের মধ্যে নতুন করে অর্থায়ন না এলে রেশন আরও কাটছাঁট করতে হবে। এই পরিস্থিতি এড়াতে ১২ কোটি ডলারের অর্থায়ন চাহিদার কথাও জানিয়েছিল জাতিসংঘ। পরে কেন্দ্রীয় জরুরি সহায়তা তহবিল থেকে প্রায় ৯০ লাখ ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
২০১৭ থেকে এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের পেছনে ২০০ কোটি ডলারের মতো সহযোগিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে বাংলাদেশেই ১৬০ কোটির বেশি ডলার সহায়তা দিয়েছে তারা। আর প্রতি বছরই সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করে আসছে দেশটি। এ বছরেও প্রায় ১০ কোটি ডলার সহযোগিতা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন তহবিল দিয়ে কক্সবাজার ও ভাসানচরে ডব্লিউএফপির মাধ্যমে ৯ লাখ ২৫ হাজার রোহিঙ্গার খাদ্য সহায়তায় দেওয়া হবে। বিবৃতিতে ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাদের চাহিদা পূরণে দাতা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।