অনেকে যা দীর্ঘ ক্যারিয়ার শেষেও পান না, ম্যানচেস্টার সিটিতে তা প্রথম মৌসুমেই পেয়ে গেলেন আর্লিং হলান্ড। ২২ বছর বয়সী নরওয়েজীয় তারকাকে গতকাল গার্ড অব অনার দিয়েছে সিটি। ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে সিটির ৩-১ ব্যবধানের জয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন হলান্ড। যা এবারের প্রিমিয়ার লিগে তাঁর ৩৫তম গোল। লিগ ইতিহাসে এটিই এক মৌসুমে কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ গোল।
৩৪ গোল নিয়ে এত দিন যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন অ্যালান শিয়ারার ও অ্যান্ডি কোল। ১৯৯৩-৯৪ ও ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে দল ছিল মোট ২২টি করে। শিয়ারার ও কোল ম্যাচ পেয়েছিলেন ৪২টি করে। এবার সিটির ৩৩তম ম্যাচে তাদের পেরিয়ে গেলেন হলান্ড।
এমন এক দারুণ অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময় গার্ড অব অনার পান হলান্ড। কোচ পেপ গার্দিওলাসহ কোচিং স্টাফের সব সদস্য ও খেলোয়াড়রা দুই পাশে দাঁড়িয়ে হলান্ডকে পিঠ চাপড়ে অভিনন্দন জানান।
পরে সিটি কোচ গার্দিওলা বলেন, ‘এটা ওর প্রাপ্য ছিল। সে বিশেষ ধরনের স্ট্রাইকার। ওকে আমরা খুবই খুশি। একদিন লিগে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটাও ভেঙে যাবে, সম্ভবত ও-ই ভাঙবে। এ ধরনের বিশেষ উপলক্ষ এলে সেটা যে বিশেষ কিছু তা দেখাতে হয়।’
লিগের মাঝপথে ‘গার্ড অব অনার’ পেয়ে যারপরনাই আনন্দিত হলান্ড, ‘এটা আমার জন্য বিশেষ রাত, বিশেষ মুহূর্ত। আমি খুবই খুশি এবং গর্বিত। গার্ড অব অনারের সময় সবাই যেভাবে পিঠ চাপড়াচ্ছিল, ব্যথাও লেগেছে।’
দল থেকে বিশেষ সম্মান পাওয়ার পরও অবশ্য বাস্তবতায় পা রাখছেন হলান্ড। মৌসুমে এখনো কোনো শিরোপা জেতেনি ম্যানচেস্টার সিটি। তবে সম্ভাবনা আছে ট্রেবলের। এই মুহূর্তে প্রিমিয়ার লিগ পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে আছে সিটি। জায়গা করে নিয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল আর এফএ কাপের ফাইনালে।
হলান্ড এখন মৌসুমটা দারুণভাবে শেষ করার অপেক্ষায়, ‘এখন একেকটা করে ম্যাচের দিকে তাকাতে হবে। দল ভালো করছে, আমিও খুশি।’