রাশিয়ান মুদ্রা বাজারের পাশাপাশি ডেরিভেটিভস বাজারে বাণিজ্যের অনুমতি পাবে এমন ‘বন্ধু ও নিরপেক্ষ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম রেখেছে রাশিয়ার সরকার।
বাংলাদেশে রাশিয়ার দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাস থেকে আজ শনিবার এ তথ্য জানা গেছে।
ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, রাশিয়ান সরকার ৩০টিরও বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ ও নিরপেক্ষ দেশ, ব্যাংক ও ব্রোকারদের একটি তালিকা অনুমোদন করেছে, যাদেরকে রাশিয়ান মুদ্রা বাজারের পাশাপাশি ডেরিভেটিভস বাজারে বাণিজ্য করার অনুমতি দেওয়া হবে।
তালিকায় রয়েছে আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, বাহরাইন, ব্রাজিল, ভেনিজুয়েলা, ভিয়েতনাম, মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কাতার, চীন, কিউবা, মালয়েশিয়া, মরক্কো, মঙ্গোলিয়া, ওমান, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সার্বিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
ইউক্রেনে হামলার পর যেসব দেশ মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তাদের রাশিয়া ‘অবন্ধু’ হিসেবে মনে করে। যেসব দেশ মস্কোর বন্ধু ও নিরপেক্ষ দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো মধ্য এশিয়ার দেশ, যারা একসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। এ ছাড়া অনেক দেশ দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার মিত্রদেশ হিসেবে পরিচিত।
দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এটি রাশিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর। সে সময় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর চাপের মুখেও বাংলাদেশ তার স্বতন্ত্র পররাষ্ট্রনীতি অটুট রেখেছে।’
দক্ষিণ এশিয়াতে ভারতের পর বাংলাদেশ রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি বছরে দুই দেশের বাণিজ্য ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। আর ২০২২ সালে এ বাণিজ্য ৩০০ কোটিতে পৌঁছেছে। এ বছর দুই দেশের বাণিজ্য কমেছে। এ নিয়ে দুই দেশের আন্তদেশীয় কমিশন কাজ করছে।’
পরের দিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। দুপুরে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার আগে তিনি ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।