ময়নাতদন্ত ছাড়াই এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত ব্যক্তিদের লাশ হস্তান্তর

0
113
ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের লাশ হস্তান্তরের পর নসিমনে করে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যায় ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে

ফরিদপুরের ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে আগুনে পুড়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্স থেকে উদ্ধার হওয়া সাতজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে লাশগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আল ফারুক ওরফে রানা লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। দুর্ঘটনায় নিহত কমলার দেবর জাকির খান চারজনের লাশ বুঝে নেন। তাঁরা হলেন বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমড়া গ্রামের বাসিন্দা আলমগীরের স্ত্রী কমলা (৩০), কমলার তিন সন্তান আরিফ (১২), হাসিব (১০) ও আফসা (১)।

এ ছাড়া সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মাহমুদের স্ত্রী বিউটি (২৬) ও বিউটির ছেলে মেহেদীর (১০) লাশ বুঝে নেন তাঁদের স্বজন মো. আবুল হাসান। এর বাইরে বোয়ালমারীর গুনবাহা ইউনিয়নের ফেলানগর গ্রামের আজিজার স্ত্রী তসলিমা বেগমের (৫০) লাশ বুঝে নেন তাঁর চাচাশ্বশুর আবদুল হামিদ শেখ (৭১)।

নিহত কমলার দেবর জাকির খান বলেন, লাশগুলো বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমড়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের দাফনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

নিহত তিন শিশু আরিফ, হাসিব, হাফসার ফুফু শামীমা ইয়াসমিন লাশ নিতে মর্গে এসেছিলেন। তিনি মুঠোফোনে মৃত আরিফের আগের ছবি দেখে কাঁদছিলেন। তাঁর গলা দিয়ে কোনো স্বর বের হচ্ছিল না। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, লাশগুলো দেখে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন শামীমা। পরে তাঁর মুখে পানি ছিটিয়ে সুস্থ করে তোলা হয়। সন্ধ্যা সাতটার দিকে একটি নছিমনে করে লাশগুলো বোয়ালমারীর মাইটকুমড়া গ্রামের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.