মেসের ছাদে মধ্যরাত পর্যন্ত পাবিপ্রবি ছাত্রীকে র‍্যাগিং

সকালে হাসপাতালে ভর্তি

0
67
র‍্যাগিংয়ের শিকার ছাত্রী

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক ছাত্রী র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন। মেসে সিনিয়র শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিংয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় রোববার সকালে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী রব্বেজ টাওয়ারে (ছাত্রীনিবাস) এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিমু রানী তালুকদার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তবে অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী পাঁচতলা রব্বেজ টাওয়ারে অনেক ছাত্রী ভাড়া থাকেন। শনিবার রাত ৯টার দিকে প্রথম বর্ষের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিজেদের রুমে ডেকে নেন সিনিয়র শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিমু অসুস্থ জানিয়ে যেতে রাজি হননি।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ছাত্রীনিবাসের ছাদে ডেকে নিয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত র‍্যাগ দেওয়া হয়। এ সময় সে অসুস্থ হয়ে পড়লে রোববার সকালে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তবে র‍্যাগিংয়ের ঘটনার বর্ণনা দিতে নারাজ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, তার মতো এ রকম ঘটনার শিকার যেন কেউ না হয়। এ ঘটনা আমার পরিবার বা অন্য কেউ জানুক, তা আমি চাই না। আমি সিনিয়র আপুদের অসুস্থতার কথা বলার পরও তারা আমার কথা শোনেননি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন মেসের মালিক আবুল কালাম আজাদ।

মেস মালিক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘রাতে ১০ জুনিয়র শিক্ষার্থীকে সিনিয়র কিছু শিক্ষার্থী ওপরে ডেকে নিয়েছিল। কিন্তু তেমন কিছু হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকজন আসছিল। সে একটু অসুস্থ হয়ে গেছে আর কি।’

ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই আমি খোঁজখবর নিয়েছি এবং তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। অভিযুক্তরা অন্য বিভাগের শিক্ষার্থী হওয়ায় আমি তো তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারি না। তবে বিষয়টি প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টাকে জানিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, ঘটনা শুনেছি। ওই শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.