কক্সবাজারের টেকনাফে ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এসেছে অপহৃত দুই শিশু। তারা সম্পর্কে চাচাত ভাই। শুক্রবার রাত ১২টায় উপজেলার বাহারছড়ার মারিশবনিয়া এলাকায় ফিরে আসে তারা। এদিকে অপহৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত মনে হচ্ছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এর আগেও এখানে অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল। এর বেশির ভাগ ঘটনা সন্দেহজনক।
শুক্রবার সন্ধ্যায় টেকনাফে বাহারছড়ার মারিশবনিয়া পাড়ার বাসিন্দা হেসেন আলীর ছেলে মো. সালমান (৪) ও একই এলাকার মো. আলীর ছেলে ওবাইদুল্লাহকে (১৫) অপহরণ করা হয়। পরে অপহৃত দুই শিশুর পরিবারের কাছে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
এ বিষয়ে টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, রাতে অপহৃত দুই শিশুকে পাওয়া গেছে। তাদের পরিবারের সদস্যরা জানান- তাদের ছাড়তে ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়েছেন। আমরা পুরো ঘটনাটি জানতে দুই শিশুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এখনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়নি।
টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, অপহৃত শিশু দুটি পাওয়া গেছে। তবে মুক্তিপণ দিয়ে তারা ফিরেছে বলে পরিবারের কাছ থেকে শুনেছি।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, ফেরত আসা অপহৃত শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত মনে হচ্ছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো অভিযোগ দেয়নি।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার একটি পাহাড়ের ভেতর খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন আট ব্যক্তি। পরে মুক্তিপণ দিয়ে তারা ফিরে আসেন। একইভাবে গত ২৯ সেপ্টেম্বর একই উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী ও মরিচ্যাঘোনার পাহাড়ি এলাকা থেকে পাঁচ কৃষককে অপহরণ করা হন।