মিয়ানমার থেকে সাঁতরে আসা হস্তীশাবকটিকে পাওয়া যাচ্ছে না

0
117
হাতিশাবকটি কখনো ঝাউবাগানের ভেতর, আবার কখনো নাফ নদীর তীরে দৌড়াদৌড়ি করছিল। টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায়

নাফ নদী সাঁতরে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচরে আসা বন্য হাতির শাবকটিকে পাওয়া যাচ্ছে না। শাবকটিকে উদ্ধার করতে বন বিভাগ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের পাঁচ সদস্য গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত তৎপরতা চালান। তবে সেটিকে পাওয়া যায়নি।

বন বিভাগ জানায়, কয়েক বছর ধরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে নাফ নদী সাঁতরে হাতির পাল টেকনাফে আসার ঘটনা ঘটছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, হস্তীশাবকটি পাহাড়ি ঢলের কারণে দলছুট হয়ে নাফ নদী সাঁতরে মিয়ানমার থেকে এসেছে। শাবকটি কখনো ঝাউবাগানের ভেতর, আবার কখনো নাফ নদীর তীরে দৌড়াদৌড়ি করলেও দুপুরের পর থেকে ঝাউবাগানের কোথাও এটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, হাতির শাবকটি পুনরায় সাঁতরে মিয়ানমারে চলে গেছে।

কক্সবাজার দক্ষিণ উপকূলীয় বন বিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা বশির আহমদ খান বলেন, কয়েক দিন ধরে মিয়ানমারে ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢল সৃষ্টি হয়েছে। এতে দলছুট হয়ে বা খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে শাবকটি। পরে পথ হারিয়ে সাঁতরে নাফ নদী পেরিয়েছে হাতির শাবকটি। এর উচ্চতা ৭ ফুটের মতো। শাবকটির বয়স ছিল দেড় থেকে দুই বছর।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুস সালাম বলেন, শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচরে ঝাউবাগানে আশ্রয় নেওয়া হাতির কোনো ধরনের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। শাবকটি উদ্ধারের জন্য এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যরা অভিযান চালালেও শাবকটির অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, সোমবার সারা দিন উৎসুক জনতা ও বন বিভাগের কর্মীদের ধাওয়ায় শাবকটি অসুস্থ ও খাদ্যসংকটে পড়তে পারে। উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা পুরো ঝাউবাগান এলাকায় তল্লাশি চালালেও শাবকটি পাওয়া যায়নি। এলাকার কোথাও হাতির শাবকটি দেখা না যাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, নাফ নদী পেরিয়ে পুনরায় সাঁতরে মিয়ানমারে ফেরত গেছে এটি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.