ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে গতকাল শনিবার উড়ন্ত মশা মারার কাজ করার কথা ছিল ১৭ জনের। তবে কাজ করেছেন ১০ জন। বাকি সাতজন কাজ না করেই ‘কাজ করেছেন’ বলে হাজিরা দিয়েছেন। আর যে ১০ জন মশকনিধন কর্মী কাজ করেছেন, তাঁরাও পুরো সময় কাজ করেননি।
বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট পর্যন্ত মোটরসাইকেলে করে উত্তর সিটির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন ন্যাম গার্ডেন, বিআরটিএ কার্যালয়, বনফুল ও স্কলাস্টিকা স্কুল এলাকা সরেজমিন ঘুরেছেন এই প্রতিবেদক। ওই সময়ে এসব এলাকার কোথাও মশক নিধনের কর্মী পাওয়া যায়নি।
পরে সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত মশকমশকনিধন কর্মীদের সুপারভাইজার লোকমান হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওষুধ ছিটানোর কাজ শেষ হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে অনেক মশকনিধন কর্মী কাউন্সিলর কার্যালয়ে এসে ফগার মেশিন (উড়ন্ত মশা মারার যন্ত্র) জমা দিয়ে বাসায়ও চলে গেছেন। তিনি নিজেও তখন কাউন্সিলর কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন।
দ্রুত কাজ শেষ হওয়ার বিষয়ে মশকনিধন কর্মীদের সুপারভাইজার ও মশকনিধন কর্মীরা জানান, যে পরিমাণ মশার ওষুধ দেওয়া হয়, যন্ত্র চালুর পর তা ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রত্যেক মশকনিধন কর্মীকে উড়ন্ত মশা মারতে প্রতিদিন পাঁচ লিটার করে ওষুধ দিয়ে থাকে। আর মশকনিধন কর্মীদের কাজের সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত।
উত্তর সিটির ৪ নম্বর ওয়ার্ডটি রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বর এলাকায় পড়েছে। ঢাকা উত্তর সিটির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী, গতকাল এই ওয়ার্ডের মশকনিধন কর্মীদের ন্যাম গার্ডেন, বিআরটিএ স্টাফ কোয়ার্টার, শিল্প প্লট এলাকা, পোস্টাল ও শেরাটন স্টাফ কোয়ার্টার, এনএইচপি কোয়ার্টার, হাউজিং স্টাফ কোয়ার্টার, গোয়ালবাড়ী এলাকা, ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ড এলাকা, আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল ও কৃষি ব্যাংক এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানোর কথা ছিল।
যে চারটি এলাকায় এই প্রতিবেদক ঘুরেছেন সেখানে মশকনিধন কর্মীদের দেখা না পাওয়ার বিষয়ে সুপারভাইজার লোকমান হোসেন বলেন, ওয়েবসাইটে যে সূচি দেওয়া আছে, সেটি প্রায় তিন বছরের পুরোনো। নতুনটি এখনো দেওয়া হয়নি।