যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের একজন বাসিন্দা তাঁর এক স্বজনের মরদেহ নিজ বাড়িতে রেখে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি এই মরদেহের সঙ্গে কয়েক দিন কাটিয়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে কিছুই জানাননি। ইতিমধ্যে লিনড্রু স্মিথ জুনিয়র নামের ৬১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত বুধবার ওয়াকার কাউন্টি শেরিফের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ৯ জুন তারা খবর পায় সিপসি শহরের একটি বাড়িতে একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। সিপসি শহরটির অবস্থান বার্মিংহাম থেকে ৩২ মাইল উত্তর-পশ্চিমে। খবর পেয়ে শেরিফের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
পরে লিনড্রু স্মিথকে কাউন্টি কারাগারে নেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাঁর বিরুদ্ধে মরদেহকে অসম্মান করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়, কর্তৃপক্ষকে কোনো কিছু না জানিয়েই স্মিথ সেখানে লাশের সঙ্গে থাকছিলেন।
এ ঘটনায় ওয়াকার কাউন্টি জেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেছিল সিএনএন। তবে তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি।
ওই মরদেহটি কত দিন ধরে স্মিথের বাড়িতে রাখা ছিল, তা জানা যায়নি। স্মিথের পক্ষে কোনো আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কি না, তা–ও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শেরিফের কার্যালয় থেকে দেওয়া ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, মানুষের মরদেহের সঙ্গে এ ধরনের আচরণের মধ্য দিয়ে সাধারণ পারিবারিক আবেগ-অনুভূতির ওপর আঘাত করা হয়েছে। স্মিথের বিরুদ্ধে সি শ্রেণির অপরাধ সংঘটনের (ক্লাস সি ফেলোনি) অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওই ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। ওই ব্যক্তির কীভাবে মৃত্যু হলো, তা জানার চেষ্টা চলছে।