বর্তমান সংসদের কয়েকজন মন্ত্রীসহ শতাধিক এমপির এবার কপাল পুড়তে পারে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত হতে পারেন তারা। ঝুঁকিতে থাকা এমপির সংখ্যা ১২৮।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, দুই ধাপে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। এই সেপ্টেম্বরেই কমপক্ষে ১০০ আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। বাকি ২০০ আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে অক্টোবরে। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাইয়ের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে দেখভাল করছেন। ১০০ আসনে দলের মনোনয়ন নিশ্চিত– এমন প্রার্থীদের মৌখিকভাবে জানিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ বিরোধ এড়াতে আনুষ্ঠানিক নাম প্রকাশের ক্ষেত্রে সময় নেওয়া হচ্ছে। এই ১০০ আসনে বেশ কয়েকজন নতুন মুখ আসছেন। তবে বেশির ভাগ আসনেই মনোনয়ন পাচ্ছেন বর্তমান এমপিরা।
আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি নির্বাচনে আসবে– এ সম্ভাবনা সামনে রেখেই দলের মনোনয়ন কার্যক্রম গুছিয়ে আনা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি আসনেই জনপ্রিয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। আর বিএনপি নির্বাচনে না এলে প্রতি আসনেই দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি ডামি প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি থাকবে। এতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ তৈরি হবে বলে নেতারা মনে করছেন।
মনোনয়নের দৌড়ে কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর অবস্থান খুবই নাজুক বলে জানা গেছে। কেউ কেউ এটা বুঝতে পেরে তাদের সন্তানকে দলের মনোনয়নের দৌড়ে শামিল করেছেন। মনোনয়নের ঝুঁকিতে থাকা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত মন্তব্য, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। তারা নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় থাকবেন না বলেও দলের কয়েকজন নেতা নিশ্চিত করেছেন।
দলীয় মনোনয়নের প্রতিযোগিতায় বেশ ঝুঁকিতে রয়েছেন গত নির্বাচনে প্রথমবার হওয়া এমপিরা। তাদের অনেকেই এবার মনোনয়ন নাও পেতে পারেন। তবে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের নেতাদের মধ্যে যারা এমপি নন, তাদের অনেকেরই মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংরক্ষিত নারী আসনের এমপিদের মধ্যে কয়েকজন মনোনয়নবিষয়ক আলোচনার পুরোভাগে রয়েছেন। আর যেসব আসনে অন্য ধর্মাবলম্বী এমপি রয়েছেন, তাদের মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, ১০০ আসনে আওয়ামী লীগের বিজয় শতভাগ নিশ্চিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। কোন কোন আসন শতভাগ নিশ্চিত– এ প্রশ্নে মন্তব্য করতে চাননি দলের সংসদীয় বোর্ডের প্রভাবশালী এই সদস্য। তবে দলের কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা বলেছেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে যেসব আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ধারাবাহিকভাবে জয় পেয়েছেন, ওই সব আসনের মনোনয়ন গুছিয়ে আনা হয়েছে।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ৩০০ আসনেই দফায় দফায় জরিপ চালিয়ে সৎ, যোগ্য, দলের প্রতি অনুগত ও জনপ্রিয় প্রার্থী বাছাই করছেন প্রধানমন্ত্রী। দলের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য আবদুর রহমান বলেন, পরিচ্ছন্ন ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই প্রার্থী বাছাই করছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে বিতর্কিত এমপিরা বাদ পড়তে পারেন।
এদিকে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দলের প্রার্থী বাছাইয়ের কার্যক্রম প্রায় শেষের দিকে। সবকটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর দলের মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে ৩০০ আসনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার পর আনুষ্ঠানিক নাম জানিয়ে দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা এমপি হওয়ার পরও গত নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি। তারা এবার মনোনয়ন পাবেন বলে ব্যাপক আলোচনা রয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক।
এদিকে বিভিন্ন আসনে বারবার নির্বাচিত এমপিদের কেউ কেউ এবার মনোনয়ন পাবেন না বলে জানা গেছে। তারা জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন বলে আলোচনা রয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন উপনির্বাচনে বিজয়ী এমপির মধ্যে অনেকেই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন না বলে গুঞ্জন আছে। বর্ষীয়ান এমপিদের কেউ কেউ জীবনের শেষ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আশায় দৌড়ঝাঁপ করলেও তারা ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাদের অনেককেই মনোনয়ন না পাওয়ার বিষয়টি এরই মধ্যে আকার-ইঙ্গিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য বর্ষীয়ান এমপিদের মধ্যে দু’জন আগামী নির্বাচন করবেন না বলে দলীয় ফোরামে জানিয়ে দিয়েছেন। তারা হচ্ছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর এক নম্বর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান। এ দুই এমপি অবশ্য নিজেদের আসনে তাদের দুই ছেলেকে দলের মনোনয়ন দেওয়ার জন্য লবিং করছেন। এ নিয়ে তাদের নির্বাচনী এলাকায় দলের ভেতরে এক ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে।
ঢাকা
ঢাকা বিভাগের বেশ কয়েকটি আসনে শক্তিশালী তারকা এমপির পতনের শঙ্কা রয়েছে। ডাকসাইটে এই এমপিদের বিরুদ্ধে গৃহদাহ সৃষ্টির পাশাপাশি ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ আছে। ঢাকা বিভাগের ১২ জেলার ৬২ আসনের মধ্যে অন্তত ২৫টি আসনে নতুন মুখ আসতে পারে। কিশোরগঞ্জের ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটিতে পরিবর্তনের আভাস রয়েছে। মানিকগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের একটি করে আসনে রদবদল হতে পারে। ঢাকার ২০টি আসনে ব্যাপক ওলটপালটের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি আসনে নতুন মুখ আসতে পারে। নরসিংদীর দুটি আসনের এমপি ছিটকে পড়তে পারেন। নারায়ণগঞ্জের দুটি আসনের প্রার্থী বদল হতে পারে। ফরিদপুরের তিনটি আসনে নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে একটি করে আসনের এমপি মনোনয়নবঞ্চিত হতে পারেন।
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার ৫৮ আসনের মধ্যে ২১টিতে নতুন মুখ আসতে পারে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিনটি আসনও থাকছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে নতুন মুখ আসবে– এটি নিশ্চিত। এ ছাড়া জেলার দু’জন তারকা এমপির ভাগ্য অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে আছে। কুমিল্লার ১১ আসনের মধ্যে অন্তত চারটিতে রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। এই আসনগুলোর এমপিদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে থাকার পাশাপাশি বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। চাঁদপুরের দুটি আসনে নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের দুটি করে আসনে পরিবর্তনের গুঞ্জন আছে। চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে কমপক্ষে চারটির এমপি মনোনয়ন নাও পেতে পারেন। কক্সবাজারের দুটি আসনে নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
খুলনা
মনোনয়নের প্রতিযোগিতায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৩৬ আসনের মধ্যে ১৪ এমপি ছিটকে পড়তে পারেন। এর মধ্যে মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন আসনের মধ্যে একজন করে এমপি বেশ ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাদের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। চুয়াডাঙ্গার একজন এমপির বিরুদ্ধে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার বেলায় জটিলতা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, যশোর ও খুলনার বিভিন্ন আসনের মধ্যে দু’জন করে এমপি মনোনয়নের দৌড়ে বেশ পিছিয়ে পড়েছেন। যশোরের একটি আসন থেকে ছিটকে পড়তে পারেন একজন প্রভাবশালী এমপি। খুলনায়ও একই চিত্র। এখানে দলের মনোনয়নের প্রতিযোগিতায় একজন ব্যবসায়ী এমপির অবস্থান খুবই নাজুক।
রাজশাহী
রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ৩৯ আসন। এর মধ্যে ১৭টি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে। জয়পুরহাটের একটি আসনে প্রার্থী বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। বগুড়ার সাত আসনের পাঁচটিতেই নতুন প্রার্থী আসতে পারে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনের মধ্যে দুটিতেই নতুন প্রার্থীর মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নওগাঁর কমপক্ষে দুটি আসনের এমপি বেশ ঝুঁকিতে রয়েছেন। রাজশাহীতেও দুটি আসনে নতুন মুখ আসতে পারে। নাটোরের একটি আসনের এমপিকে ইতোমধ্যে আকার-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, তিনি আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাচ্ছেন না। একই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে সিরাজগঞ্জের দুই এমপিকে। অর্থাৎ বড় কোনো সিদ্ধান্ত না হলে নাটোর ও সিরাজগঞ্জের ওই এমপিদের আসনে নতুন প্রার্থী আসছে। পাবনার দুটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুব বেশি।
সিলেট
খুব একটা রদবদলের সম্ভাবনা নেই সিলেট বিভাগের চার জেলার ১৯ আসনে। তবু পাঁচটি আসনে নতুন মুখ আসতে পারে বলে আলোচনা রয়েছে। সুনামগঞ্জের দুটি আসনে পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। সিলেটে রদবদল হতে পারে একটি আসনে। মৌলভীবাজার-২ আসনে আসতে পারে চমক। এই আসনের এমপি গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ আওয়ামী লীগে যোগ দেবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তিনি যোগ দিলে দলের মনোনয়ন পেতে পারেন। মৌলভীবাজারে আরেকটি আসনেও বড় চমক তৈরি হতে পারে। ওই আসনের এমপির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। হবিগঞ্জের একটি আসনে নতুন মুখ আসতে পারে।
বরিশাল
এবার মনোনয়ন নাও পেতে পারেন বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ২১ আসনের ৯ এমপি। তাদের জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে বলে দলীয়ভাবে মনে করা হচ্ছে। আবার বয়সের কারণেও মনোনয়নবঞ্চিত হতে পারেন কোনো কোনো এমপি। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণেও মনোনয়ন পাবেন না কেউ কেউ। বরগুনা ও ঝালকাঠির একটি করে আসনে নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা খুব বেশি। পিরোজপুরের দুটি আসনেও আসছে নতুন মুখ। পটুয়াখালীর দুটি আসনের এমপির অবস্থান একেবারেই নাজুক। ভোলায় পরিবর্তন আসবে কমপক্ষে একটি আসনে। বরিশালের ছয়টি আসনের মধ্যে দুটিতে দলের প্রার্থী বদলের সম্ভাবনা শতভাগ নিশ্চিত। আরেকটি আসনের এমপির ভাগ্য রীতিমতো পেন্ডুলামের দোলায় দুলছে।
রংপুর
রংপুর বিভাগের আট জেলার ৩৩ আসনের মধ্যে ১৫টিতে রদবদলের সম্ভাবনা খুব বেশি। ঠাকুরগাঁওয়ের অন্তত দুটি আসনে নতুন প্রার্থিতার আভাস মিলেছে। দিনাজপুরে কমপক্ষে দুটি আসনের বর্তমান এমপি মনোনয়নের প্রতিযোগিতায় ছিটকে পড়তে পারেন। নীলফামারীর দুটি ও লালমনিরহাটের একটি আসনে নতুন মুখ আসার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। রংপুরের তিনটি আসনে আসতে পারে নতুন মুখ। এর মধ্যে রংপুর-৫ আসনের এমপি এইচ এন আশিকুর রহমান আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন চাইবেন না বলে জানিয়েছেন। ঝুঁকি এড়াতে কুড়িগ্রামের চার আসনের মধ্যে তিনটিতেই রদবদলের চিন্তাভাবনা রয়েছে। গাইবান্ধায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে দুটি আসনে।
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ বিভাগের পাঁচ জেলার ৩২ আসনের মধ্যে ১০টিতে রদবদল হতে পারে। কয়েকটি আসনে অবাক করার মতো পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। টাঙ্গাইলের আট আসনের মধ্যে কমপক্ষে দুটিতে নতুন মুখ আসতে পারে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে একজন এমপি বাদ পড়তে পারেন। জামালপুরের দুটি আসনে পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় ছিটকে যেতে পারেন এই জেলার একজন এমপি। শেরপুরের একটি আসনে প্রার্থী নড়চড় হতে পারে। ময়মনসিংহের তিনটি আসনে পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মনোনয়ন পাবেন না কমপক্ষে এক এমপি। নেত্রকোনার দুটি আসনের এমপির ভাগ্যও পুড়তে যাচ্ছে। তাদের একজন সাম্প্রতিক সময়ে বিতর্কিত হয়েছেন।
শাহেদ চৌধুরী