এবারের পুরস্কার অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক আয়োজনে কী থাকছে?
ভালোবাসা নিয়ে কাজটি করছি। এতে দেশের গান থাকবে, এই সময়ের ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয় চরিত্রগুলো নিয়েও একটা পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়েও কিছু একটা থাকছে। তবে সবটা এখনই বলতে চাই না। মঞ্চে উপভোগ করবেন উপস্থিত দর্শকেরা।
কবে কাজ শুরু করেছেন?
অনেক আগেই অডিশন ও শিল্পী নির্বাচনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সব গুছিয়ে ২ সেপ্টেম্বর আমরা মহড়া শুরু করেছি। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় নাচ–গানের মহড়া চলছে। পাশাপাশি নাচের পোশাক নিয়েও আমরা আলোচনা করছি। অনুষ্ঠানে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছি।
সম্প্রতি চরকির ‘ভাইরাস’ সিরিজে আপনাকে পাওয়া গেছে। কোন ভাবনা থেকে সিরিজটি করেছেন?
নির্মাতা অনম বিশ্বাসের সঙ্গে আমার কাজ করা হয়নি। এটি প্রথম কাজ। সিরিজের গল্প ও চিত্রনাট্য পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে। সমাজের আরেকটা দিক আছে, সেটা নিয়েই এই সিরিজ। লোভ মানুষকে কত দূর নিয়ে যায়, সেটাই রয়েছে সিরিজে। আমার চরিত্রটা প্রকৃতির মধ্যে মিশে থাকা এক মাঝির। ভাইরাস শুধু বাইরে নয়, মানুষের মনেও রয়েছে। মনের ভাইরাস দূর করাটাও অনেক বড় ব্যাপার। সেটা দর্শকেরা বুঝেছেন, এটা ভালো লেগেছে। কাজটা দেখতে দর্শকেরা হুমড়ি খেয়ে পড়বেন, এটা আমি ভাবিনি। এটি ভবিষ্যতে রেফারেন্স হয়ে কাজ করবে।
ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আর কী কী করছেন?
বঙ্গের সঙ্গে অসময় করছি। বিঞ্জের সঙ্গেও একটি কাজের কথা রয়েছে।
সম্প্রতি কয়েকটি সিনেমা আলোচিত হয়েছে। এটাকে কীভাবে দেখছেন?
সিনেমার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভাইব দেখছি। ভিন্ন আঙ্গিকের ভাবনাগুলোও সিনেমায় আসতে হবে। নিজের মাটির গল্প বলতে হবে, তাহলেই সেটা বৈশ্বিক হবে। সিনেমার মধ্যে সেই সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। পেয়ারার সুবাস সিনেমার কাজ শেষ করেছি, এই বছরই হয়তো মুক্তি পাবে। গাঙচিলও মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। ১৯৭১ সেই সব দিন, সুড়ঙ্গ সিনেমা দেখার ইচ্ছা আছে। মানুষের পালসটা বুঝতে হবে। মানুষের আশা, আকাঙ্ক্ষা, ভালোবাসা বুঝতে হবে। আবার নির্দিষ্ট দর্শকের জন্যও সিনেমা হতে পারে, যেমন ভাইরাস ভবিষ্যতে রেফারেন্স হয়ে থাকবে। এই সময়ে একদল তরুণ ভালো সিনেমা নির্মাণে চেষ্টা করছে। এই মাধ্যমের সম্ভাবনা দেখছি। বলী, আগন্তুক বুসানে জায়গা করে নিয়েছে, এটা খুব ভালো খবর।
মঞ্চনাটকের কী অবস্থা?
আমাদের থিয়েটারের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসছে। থিয়েটারের জন্য ভেন্যু লাগে। শিল্পকলা একাডেমি ও মহিলা সমিতির বাইরে ভেন্যু নেই বললেই চলে। ঢাকার উত্তরায় ভেন্যু নেই কেন? সব জায়গায় থিয়েটার থাকা উচিত, এটা নিয়ে সবাই মিলে কাজ করতে হবে।