রাশিয়াকে ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী ভাগনার গ্রুপ ও এর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের বিদ্রোহ সরকারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কর্তৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
আজ রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের টক শো ‘ফেস দ্য নেশন’–এ অংশ নিয়ে এ কথা বলেছেন ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, সে কারণে ভাগনারের এই বিদ্রোহ বড় প্রশ্ন তৈরি করেছে। এটা পুতিনের কর্তৃত্বে যে ফাটল রয়েছে, তা তুলে ধরেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ভাগনার গ্রুপের যেসব সদস্য গতকাল বিদ্রোহ করেছিলেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠেছিল ভাগনার গ্রুপ। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট সরকারের পক্ষে ভাড়ায় নিয়োজিত রয়েছেন এই বাহিনীর সদস্যরা। ২০১৪ সালে রাশিয়া যখন ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে, সে সময় ওই সামরিক তৎপরতায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে ভাগনার গ্রুপ।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার পর আবার এই যুদ্ধে ভাড়াটে ওই বাহিনীকে কাজে লাগান পুতিন। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত এলাকায় ইউক্রেন বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছিল তারা।
গতকাল শনিবার সকালে হঠাৎ ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার ভেতর ঢুকে একাধিক শহরের নিয়ন্ত্রণ নেন ভাগনার যোদ্ধারা। গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের হুমকি দেন। তাঁর বাহিনীর একটি অংশ রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর দিকে যাত্রা করে। ১১ ঘণ্টার উত্তেজনার পর পুতিনের ঘনিষ্ঠ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় সংকটের সমাধান হয়।
প্রিগোশিন তাঁর যোদ্ধাদের মস্কোর দিকে যাত্রা বাদ দিয়ে ঘাঁটিতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি নিজেও বেলারুশে যেতে রাজি হন। পরে তিনি ও তাঁর যোদ্ধারা রাশিয়ার শহরগুলো ছেড়ে গেছেন।