ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলের জলাশয় ভরাটের বালু উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি

0
92
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানচিত্র

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ের জলাশয়ে বালু ফেলে ভরাটের অভিযোগে জব্দ করা ১৫ হাজার ঘনফুট বালু উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। মোট ৮১ হাজার টাকায় এসব বালু বিক্রি করা হয়। গতকাল বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসেনের উপস্থিতিতে এ উন্মুক্ত নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে সদর উপজেলার বড় হরণ লেভেল ক্রসিং এলাকায় বালু ফেলে রেলের জলাশয় ভরাটের প্রতিবাদে গত রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।

সদর উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় লোকজন ও নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, বড় হরণ এলাকায় একটি চক্র রেলের জলাশয়ে বালু ফেলে ভরাট করেছেন বলে স্থানীয় মাধ্যমে জানতে পারে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার দুপুরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালান সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসেন। এ সময় ভরাট করা জলাশয়ের বালু ও এক্সকাভেটর মেশিন জব্দ করা হয়। পরে চার কার্যদিবসের মধ্যে উন্মুক্ত নিলাম ডেকে বালু বিক্রি করে জলাশয়কে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলমকে নির্দেশ দেন মোশারফ হোসেন।

গতকাল দুপুরে নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে উন্মুক্ত নিলাম আহ্বান করেন ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম। নিলামে নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের পয়াগ নরসিংসার গ্রামের খলিলুর রহমান নামের এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ মূল্য ৮১ হাজার টাকা ডাক তোলেন। ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, আগামী শনিবার থেকে ওই ব্যক্তির কাছে বালু বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় হোসেন মিয়াসহ তাঁর দুই ভাই বড় হরণ লেভেল ক্রসিং এলাকার দক্ষিণ পাশের জলাশয়ের ৩৮ শতক জায়গায় মাছ চাষের জন্য রেলওয়ের কাছ থেকে ইজারা নেন। জলাশয়ের পশ্চিম দিকের সাড়ে চার শতক জায়গায় ১০টি দোকান ভিটার জন্য বাণিজ্যিকভাবে ইজারা পান আবদুল্লাহ আল বাকি বিল্লাহ, আওয়াল মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য সালাম মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, মো. শাহনূর ও হানিফ মিয়া। কিন্তু গত ৭ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি বড় হরণ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি অভিযুক্ত আশিকুল ইসলাম, অভিভাবক সদস্য উম্মেদ হোসেন ও মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক সুলতান উদ্দিন আহমেনের নেতৃত্বে ওই সব দোকান ভেঙে লুটপাট চালানো হয়। পরে ১৬ ও ১৭ মার্চ দুটি বালুবাহী ট্রাক দিয়ে হোসেন মিয়ার ইজারা নেওয়া জলাশয় বালু ফেলে ভরাট শুরু করে প্রভাবশালীরা।

সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, বালু ফেলে জলাশয় ভরাটের অভিযোগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বড় হরণে অভিযান চালিয়ে খননযন্ত্র জব্দসহ এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরিবেশ আইনে চিহ্নিত জলাধার কোনোভাবেই ভরাট করার সুযোগ নেই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.