ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত তাপমাত্রায় আবার বেঁকে গেল রেললাইন, ঢালা হচ্ছে পানি

0
97
পানি ও কচুরিপানা দিয়ে রেললাইন ঠান্ডা করা হচ্ছে। শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দারিয়াপুর এলাকায়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে আবার রেললাইন বেঁকে গেছে। এতে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেটের সঙ্গে ঢাকা অভিমুখী রেলপথে (আপলাইন) ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট অভিমুখী রেলপথ (ডাউনলাইন) দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। এতে শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে বিলম্বে চলবে সব ট্রেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দারিয়াপুর এলাকায় রেললাইন বেঁকে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে একটার দিকে একই এলাকায় রেললাইন বেঁকে কনটেইনার বহনকারী ট্রেনের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

রেলওয়ের কর্মচারী স্বপন মিয়া, তৌহিদুল আলম, ইব্রাহীম খলিল উল্লাহসহ বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে দারিয়াপুর এলাকায় আবার রেললাইন বেঁকে গেছে। আজ সকাল ১০টার দিকে সর্বশেষ আপলাইন দিয়ে ঢাকা অভিমুখী নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা উপকূল এক্সপ্রেস শহরের গোকর্ণ লেভেল ক্রসিং এলাকা অতিক্রম করে। এখানে রেললাইনের ওপর তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমলে রেললাইন সোজা করা হবে। এখন পানি ও কচুরিপানা দিয়ে রেললাইন ঠান্ডা করা হচ্ছে।

পানি ঢেলে রেললাইন ঠান্ডা করা হচ্ছে। শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দারিয়াপুর এলাকায়
পানি ঢেলে রেললাইন ঠান্ডা করা হচ্ছে। শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দারিয়াপুর এলাকায়

আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত দেখা যায়, শহরের গোকর্ণ লেভেল ক্রসিং এলাকায় নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন আসে। গেটম্যান লাল নিশান উড়িয়ে ১০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের জন্য লোকোমাস্টারকে নির্দেশ দেন। সদর উপজেলার ছোট হরণ ও বড়দিন এলাকায় রেললাইন সামান্য বেঁকে যেতে দেখা গেছে। দুপুর ১২টার দিকে আপলাইনের ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও পৌনে একটার দিকে কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন ডাউনলাইন দিয়ে চলাচল করছিল। দারিয়াপুর এলাকায় রেলওয়ের কর্মচারী ট্রেন এলেই লাল নিশান উড়িয়ে গতি কমানোর সংকেত দিচ্ছেন।

আখাউড়া রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান তারেকবলেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে দারিয়াপুর এলাকায় রেললাইন আবার বেঁকে গেছে। পানি ও কচুরিপানা দিয়ে রেললাইন ঠান্ডা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম-সিলেটমুখী ডাউনলাইনও কয়েকটি জায়গায় বেঁকে গেছে। আপাতত ডাউনলাইন দিয়ে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামের সব ট্রেন চলাচল করছে। তাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন থেকে সদর উপজেলার তালশহর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ডাউনলাইনের সব ট্রেনকে ২০ কিলোমিটার গতিতে চালানোর জন্য লোকোমাস্টারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ।

বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে একটার দিকে দারিয়াপুর এলাকায় কনটেইনার বহনকারী ট্রেনের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ২৮ ঘণ্টা পর গতকাল শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনের সাতটি বগি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল রাত পর্যন্ত ঢাকামুখী (আপলাইন) রেলপথ দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। তবে পাশে থাকা ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট অভিমুখী রেলপথ (ডাউনলাইন) দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.