ব্রাজিলে কয়েক হাজার মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে সমাবেশ করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, সুপ্রিম কোর্ট ও কংগ্রেসে হামলা চালিয়ে দাঙ্গার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোকে কারাদণ্ডের দাবিতে দেশটির বৃহত্তম শহর সাও পাওলোতে স্লোগান দেয় জনতা।
সাও পাওলোতে বৃহৎ সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা পর্তুগিজ ভাষায় ‘আমরা গণতন্ত্র’ লেখা বড় ব্যানার নিয়ে মিছিল করেন।
কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক বলসোনারোর শত শত সমর্থক গত রোববার দেশটির কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও সুপ্রিম কোর্টে হামলা চালান। হামলা চালাতে বলসোনারো তাঁর সমর্থকদের উসকানি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহ পর রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার সন্ধ্যায় ৭৭ বছর বয়সী লুলা দেশের গভর্নরদের সঙ্গে কংগ্রেসের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও সুপ্রিম কোর্ট পরিদর্শন করেন। তিনি নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। পরে এ ঘটনায় প্রায় দেড় হাজার মানুষ আটক করা হয়।
তবে বলসোনারো বলেছেন তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’। একই সঙ্গে ‘শান্তিপূর্ণ’ প্রতিবাদের অধিকারের পক্ষে তাঁর অবস্থানের কথা তুলে ধরেছেন।
গত ডিসেম্বরে ব্রাজিলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এতে বামপন্থী লুলার কাছে বলসোনারো পরাজিত হন। লুলার শপথ গ্রহণের আগেই গত ৩০ ডিসেম্বর তিনি দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় চলে যান।
ওই দাঙ্গার পরে বলসোনারোর স্ত্রী মিশেল বলসোনারো জানিয়েছেন, বলসোনারো পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তার অবস্থা ‘চিন্তাজনক নয়’। বলসোনারোকে ২০১৮ সালে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। তারপর থেকে তিনি মাঝে মাঝে পেটে ব্যথায় ভোগেন।