বেঙ্গালুরুতে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৪০১ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। এতেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি কিউইরা। বৃষ্টি আইনে ম্যাচ জিতে নিলেন বাবর আজমরা।
৪০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কয়েক দফা বৃষ্টির সামনে পড়ে পাকিস্তান। তবে ফখর জামানের ঝড়ো শতকে ভর করে ২৫.৩ ওভারে ১ উইকেটে ২০০ রান তোলে পাকিস্তান। এরপর বৃষ্টিতে আর খেলা মাঠে গড়ায়নি। আম্পায়াররা শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করে বৃষ্টি আইনে পাকিস্তানকে ২১ রানে জয়ী ঘোষণা করে। ৬৬ রানে বাবর ও ১২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ফখর জামান।
এই জয়ে বিশ্বকাপে এখনও টিকে থাকল পাকিস্তান। আর এই হারে নিজেদের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা কঠিন করে ফেললেন উইলিয়ামসনেরা।
এর আগে টস জিতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে পাঠান পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। উদ্বোধনী জুটিতে নিউজিল্যান্ডকে ভালো শুরু এনে দেন ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। দুজন যোগ করেন ৬৮ রান। হাসান আলীর বলে ৩৫ করে কনওয়ে ফিরলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন রবীন্দ্র ও কেন উইলিয়ামসন।
ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করে একটা পর্যায়ে তিন অঙ্কের দিকেও এগিয়ে যান দুজনে। ইনিংসের ৩৪ ওভারে সেটা পেয়েও যান রবীন্দ্র। ২৩ বছর বয়সী বাঁহাতির এটি টুর্নামেন্টে তৃতীয় শতক। বয়স পঁচিশ হওয়ার আগে এটিই কোনো ব্যাটসম্যানের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি শতক। এতে পেছনে পড়ে গেছে শচীন টেন্ডুলকারের দুই শতকের রেকর্ড। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৮০ রান যোগ করেন রবীন্দ্র ও উইলিয়ামসন। সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে আউট হন এ ম্যাচে দলে ফেরা উইলিয়ামসন। ইফতিখারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৯৫ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
সেঞ্চুরি করা রবীন্দ্র শেষ পর্যন্ত ৯৪ বলে ১৫টি চার ও ১টি ছয় মারেন। তাকে আউট করেন ওয়াসিম জুনিয়র। এরপর মার্ক চাপম্যান ও ড্যারেল মিচেলরা নিউজিল্যান্ডের রানের চাকা ঘুরাতে থাকেন। দলীয় ৩১৮ রানে বিদায় নেন মিচেল। ১৮ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তিনি। চাপম্যান ২৭ বলে ৩৯ রান করে ফেরেন সেই ওয়াসিমের বলে। মাত্র ২৫ বলে ৪১ রান যোগ করেন গ্লেন ফিলিপসও। তার উইকেটও নেন ওয়াসিম। মিচেল স্যান্টনার ফিলিপসকে ভালো সঙ্গ দিয়ে করেন ২৬ রান। টম লাথামের ব্যাট থেকে আসে ২ রান।
পাকিস্তানের পক্ষে ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ওয়াসিম জুনিয়র। ৯০ রানে উইকেটশূন্য ছিলেন শাহিন আফ্রিদি। ৮৫ রানে ১ উইকেট নেন হারিস রউফ।