বিনা মূল্যের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, তবু কেন মানুষ কম

নাজনীন আখতারঢাকা

0
103

মানুষকে বিনা মূল্যে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে প্রকল্পের আওতায় চালু হয় ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার। কিন্তু প্রচার আর জনবলের অভাবে এখান থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা পান না মানুষ। প্রকল্প নিয়ে অনিশ্চয়তায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরাও চাকরি ছেড়ে যাচ্ছেন।

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় একটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়ে হতাশ হয়ে পড়েন এক ছাত্রী। এরপর থেকেই সব সময় তাঁর মনে হচ্ছিল, পরিবার ও আত্মীয়স্বজন তাঁকে নিয়েই আলোচনা করছেন, কটাক্ষ করছেন। প্রচণ্ড হতাশায় তিনি অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দেন। বন্ধুরা পাস করে গেছেন, তাই তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এভাবে হতাশায় কাটছিল তাঁর দিন।

একদিন কাছের এক ব্যক্তির কাছে সরকারের বিনা মূল্যের মানসিক স্বাস্থ্যসেবার কথা জানতে পারেন। ঢাকার বাইরে থাকেন বলে অনলাইনে কয়েকটি অধিবেশনে ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টারের (এনটিসিসি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীর কাছ থেকে কাউন্সেলিং (ব্যক্তিগত বা মানসিক সমস্যা সমাধানে পেশাদার কারও সহায়তা ও পরামর্শ নেওয়া) সেবা নিচ্ছেন। এখন তাঁর সমস্যাগুলো বেশ উন্নতির দিকে।

প্রতীকী ছবি

ট্রমা বলতে বোঝানো হয়, কোনো দুর্ঘটনা বা বিপর্যয়ের মুখে পড়ে মানুষ মানসিক ও শারীরিক আঘাত পাওয়া। এনটিসিসি থেকে হতাশা, বিষণ্নতাসহ যেকোনো মানসিক সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তিকে সরাসরি, টেলিফোনে ও অনলাইনে বিনা মূল্যে সেবা দেওয়া হয়। তবে বিনা মূল্যের এই সরকারি সেবা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত সাড়ে ১২ বছরে মাসে গড়ে মাত্র ১৩ জন এই প্রতিষ্ঠানের সেবা নিয়েছেন। মাসে অধিবেশন পরিচালিত হয়েছে গড়ে ১১২টি।

এই প্রতিবেদকের পরিচিত সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় পাস এক তরুণী অনেক দিন ধরেই বিষণ্নতায় ভুগছেন। এ অবস্থা থেকে কাটিয়ে উঠতে তিনি কাউন্সেলিং নিতে চাইছিলেন। কিন্তু আর্থিক সংগতির বিষয়টিও বিবেচনায় নিচ্ছেন। তাই কম টাকায় কোথায় কাউন্সেলিং নেওয়া যায়, সেটার খোঁজ করছিলেন। সরকারি এমন একটি বিনা মূল্যের সেবার তথ্য তিনি জানেন না।

একজন অভিভাবক এই প্রতিবেদককে বলেন, তাঁর মেয়ে পরীক্ষাভীতিতে ভোগে। একবার মেয়ের পরীক্ষাভীতি কাটাতে তিনি অনলাইনে দুই হাজার টাকা করে সপ্তাহে দুই দিন করে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীর কাছে মাসে আটটি কাউন্সেলিং করিয়েছেন। এতে এক মাসে খরচ হয়েছে ১৬ হাজার টাকা। এনটিসিসিতে বিনা মূলের এই সেবার কথা তিনি কখনোই শোনেননি।

এনটিসিসি ও আরটিসিসিতে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীর ২২টি পদে ২২ জন ছিলেন। এখন আছেন মাত্র ৯ জন। এনটিসিসিতে মোট চারজন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী ছিলেন। এখন আছেন দুজন। এ ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে একজন কম্পিউটার অপারেটর এবং একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও বার্তা বাহক (মেসেঞ্জার) হিসেবে কাজ করেন।

সেবা কম নেওয়ার কারণ

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, নানা সামাজিক সংস্কারের কারণে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে মানুষ এমনিতে আগ্রহ কম দেখান। অন্যদিকে সেবা সম্পর্কে প্রচার অনেক কম। যাঁরা এনটিসিসিতে সেবা নিয়েছেন, তাঁরা মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেননি। প্রতিবেদন তৈরির আগে এই প্রতিবেদকও সেবা নিয়েছেন। তবে প্রচার বা জনবল বাড়ানোর দিকে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মনোযোগ কম। বেশি মানুষ সেবা নিতে এলে সামাল দেওয়ার মতো জনবল নেই। জাতীয় ও আঞ্চলিক ট্রমা কাউন্সেলিং কেন্দ্রে মোট চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী ছিলেন ২২ জন। এঁদের মধ্যে ১৩ জনই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। যে প্রকল্পের অধীনে সেবা দেওয়া হয়, তার মেয়াদ আছে আর মাত্র আট মাস। এ সময়ে নতুন করে জনবল নিয়োগে আগ্রহ নেই সরকারের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কামাল চৌধুরী বলেন, তাঁদের কাছে মানসিক সেবা নিতে আসেন, এমন অনেকেই বিনা মূল্যের সেবা খোঁজেন। তখন তাঁদের এনটিসিসিতে যাওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। প্রচারের অভাবে অনেকেই বিনা মূল্যের এই সেবা নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। প্রকল্প শেষ হয়ে যাবে নাকি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত হবে—এ নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে প্রতিষ্ঠানটির সেবা কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে পড়েছে।

একটা সময় প্রকল্পের নারী ও শিশু সহায়তা বিষয়ে অনেক প্রচার ছিল। গণমাধ্যমে নিয়মিত প্রচার হতো। তখন মানসিক সেবা নিতে অনেকে আসতেন। সেভাবে আবার প্রচার দরকার। প্রকল্পের মেয়াদ কম হলেও শূন্য পদে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।
প্রকল্পের সাবেক পরিচালক আবুল হোসেন

প্রকল্পের আওতায় চলে সেবা

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম’-এর ১০টি কার্যক্রমের দুটি হচ্ছে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা। এর মধ্যে এনটিসিসি রাজধানীর ইস্কাটনে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরে এবং আটটি বিভাগে সংশ্লিষ্ট বিভাগের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) রিজওনাল (আঞ্চলিক) ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার (আরটিসিসি) করা হয়েছে।

নারী ও শিশুদের জন্য সেবাটিতে গুরুত্ব দেওয়া হলেও পারিবারিক, দাম্পত্য ও সম্পর্কের কারণেও মানসিক সমস্যায় ভোগেন এমন নারী, পুরুষ ও শিশু—সবার জন্য এই সেবা রাখা হয়েছে।

উদ্বেগ, হতাশা, ভীতি কমাতে সেবা নেন তাঁরা

শিক্ষাগত জীবনের সব পর্যায়ে ভালো ফল করে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন এক নারী। সন্তান জন্ম নেওয়ার পর তিনি কর্মজীবনে কিছুটা পিছিয়ে পড়েন। সেই পরিস্থিতি কিছুটা কাটিয়ে উঠলেও কোভিডের ব্যাপক সংক্রমণের সময় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। সন্তানের কোভিড হয় কি না, তা নিয়ে ভীতি তৈরি হয়। সারা দিন ঘর পরিষ্কার করতেন। উদ্বেগ থেকে একপর্যায়ে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২০২০ সালে অনলাইনে এনটিসিসির চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীর কাছ থেকে তিনি মাসের পর মাস কাউন্সেলিং নেন। অনলাইনে তাঁকে বিভিন্ন কোর্সে যুক্ত হতে উৎসাহিত করে ভীতি দূর করতে সফল হন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী।

২০২১ সালে এক নারীর শ্বশুর হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে প্রায়ই ওই নারী ‘প্যানিক অ্যাটাকে’ ভুগতেন। তাঁর হৃৎস্পন্দন বেড়ে যেত, ঘাম ও শ্বাসকষ্ট হতো। কিছুক্ষণ পরপর অক্সিমিটার দিয়ে নিজের অক্সিজেনের মাত্রা মাপতে শুরু করেন। বাসায় দিনে সাত-আটবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতেন। এনটিসিসিতে বেশ কয়েকবার কাউন্সেলিং নেন।

নিজ বাড়িতে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করার দৃশ্য দেখেন আরেক নারী। এর পর থেকে মাঝেমধ্যে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, মুখ দিয়ে ফেনা বেরিয়ে যায়। ওই সময় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। তাঁর দুটি ছোট শিশুসন্তান রয়েছে। তিনিও নিয়মিত কাউন্সেলিং নেন এনটিসিসিতে।

এনটিসিসির প্রধান চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী ইসমত জাহান বলেন, কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ওই সব নারীর মন ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া গেছে। তাঁরা এখন নিজেরাই সমস্যাগুলো ধরতে পারেন এবং সমস্যা সমাধানের পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন। সেবাগ্রহীতারা অনেক সময় পুরোপুরি সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন না, কিন্তু উন্নতি হয়।

সাড়ে ১৩ বছরে সেবা নেন ২০০৮ জন

এনটিসিসির তথ্য অনুসারে, এনটিসিসির সেবা শুরু হয় ২০০৯ সালের আগস্টে। তখন থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি মানুষ সেবা নিয়েছেন। মোট কাউন্সেলিং অধিবেশন হয়েছে ১৬ হাজার ৮২৬টি। সেবাগ্রহীতাদের বেশির ভাগের বয়স ১৯ থেকে ৫০ বছর, এই হার ৫৬ শতাংশ। এ ছাড়া ১৮ বছরের মধ্যে ৪২ শতাংশ এবং ৫১ বছরের বেশি বয়সীর হার সবচেয়ে কম, প্রায় ২ শতাংশ। এনটিসিসির অনলাইন ও টেলি কাউন্সেলিং সেবাও রয়েছে।

এনটিসিসিতে ২০২২ সালে মোট সেবা নেন ১২৪ জন এবং কাউন্সেলিং অধিবেশন হয় ৯০৪টি। এ বছরের জানুয়ারিতে ১২ জন নতুন সেবাগ্রহীতাকে সেবা দেওয়া হয় এবং কাউন্সেলিং হয় ৯৫টি। ফেব্রুয়ারিতে ৯ জন নতুন সেবা নেন, কাউন্সেলিং হয় ৯৩টি। মার্চে একটি বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের স্কুলে দলগতভাবে সেবা দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে সেবা পেয়েছেন
১৭৯ জন।

আরটিসিসির সেবা শুরু হয় ২০১৭ সালে। আট বিভাগে আটটি আরটিসিসিতে মোট সেবা নিয়েছেন ২৫৮ জন এবং মোট কাউন্সেলিং হয়েছে ১৯ হাজার ৬২টি।

চাকরি ছাড়ছেন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরা

এনটিসিসি ও আরটিসিসিতে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীর ২২টি পদে ২২ জন ছিলেন। এখন আছেন মাত্র ৯ জন। এনটিসিসিতে মোট চারজন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী ছিলেন। এখন আছেন দুজন। এ ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে একজন কম্পিউটার অপারেটর এবং একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও বার্তা বাহক (মেসেঞ্জার) হিসেবে কাজ করেন।

চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীদের চাকরি ছাড়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, ২০০০ সালের জুলাই থেকে বাংলাদেশ সরকার ও ডেনমার্কের সরকারি সংস্থা ড্যানিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির (ডানিডা) যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছিল। প্রকল্পের চতুর্থ পর্বের মেয়াদ ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ছিল। সংশোধন করে প্রথমে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন ও পরে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। প্রকল্পটি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি থাকলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে চাকরির অনিশ্চয়তায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরা প্রকল্প শেষ হওয়ার আগেই অন্য কোথাও চাকরি নিয়ে চলে যাচ্ছেন। এ ছাড়া গত বছরের জুনের পর ডানিডা প্রকল্প থেকে সরে গেলে প্রকল্পের ব্যয় কমিয়ে আনে সরকার। ফলে জনবলসংকটে সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম’ শীর্ষক প্রকল্পটি এখন চতুর্থ পর্বে (২০১৬-২০২৩) বাস্তবায়িত হচ্ছে। চতুর্থ পর্বে দুই দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। শেষ হবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। এখন পর্যন্ত মোট অনুমোদিত ব্যয় ১৬০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তবে প্রায় আড়াই শ মানুষের চাকরি হারানোর আশঙ্কার মধ্যে মেয়াদ শেষের পর ওই প্রকল্পের আদলে নতুন প্রকল্প নেওয়া হবে, নাকি প্রকল্পের কার্যক্রম রাজস্ব বাজেটে নেওয়া হবে—তা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পের কার্যক্রম রাজস্ব বাজেটের মূলধারায় আনার লক্ষ্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত ‘এক্সিট প্ল্যান’ পর্যবেক্ষণ কমিটির প্রথম সভা হয় গত ১৭ এপ্রিল। অন্যদিকে এই প্রকল্পের আদলে আরেকটি নতুন প্রকল্প প্রস্তাব নিয়ে কথা হচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপিতে প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াকরণ করতে হবে। তবে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

প্রকল্প পরিচালক মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাহিদ মঞ্জুরা আফরোজ বলেন, জনবল পর্যাপ্ত না থাকলে পরিকল্পিত সেবা দেওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। প্রকল্পের শেষ পর্যায়ে নতুন করে জনবল নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ধাপে ধাপে অনেকে চাকরি ছেড়েছেন। শূন্য পদে নিয়োগের পরিকল্পনা ছিল। সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) চূড়ান্ত না হওয়ায় এবং পর্যাপ্ত বাজেট না থাকায় সেটি বাস্তবায়ন করা যায়নি।

এনটিসিসির তথ্য অনুসারে, ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সর্বনিম্ন ১৮৪ ও সর্বোচ্চ ২৮৪ জন সেবা নিয়েছেন। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সেবা নেওয়ার হার ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশে নেমে আসে। তবে কোভিডের সময় তুলনামূলক বাড়ে। ২০২০ সালে ১১৯ জন এবং ২০২১ সালে ১৫৭ জন সেবা নেন।

প্রকল্পের সাবেক পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, একটা সময় প্রকল্পের নারী ও শিশু সহায়তা বিষয়ে অনেক প্রচার ছিল। গণমাধ্যমে নিয়মিত প্রচার হতো। তখন মানসিক সেবা নিতে অনেকে আসতেন। সেভাবে আবার প্রচার দরকার। প্রকল্পের মেয়াদ কম হলেও শূন্য পদে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.