তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলো কি করলো না সেটির চেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে জনগণ অংশগ্রহণ করলো কিনা। বিএনপি ও তার মিত্ররা যদি নির্বাচন বর্জনও করে, জনগণের অংশগ্রহণে একটি আন্তর্জাতিকমানের নির্বাচন বাংলাদেশে যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আশা করি বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে, খালেদা জিয়াও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন’।
সোমবার সচিবালয়ে সিনেমা হল মালিকদের সংগঠন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠকে দেশব্যাপী সর্বোচ্চ সংখ্যক সিনেমা হলে বঙ্গবন্ধু বায়োপিক ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তথ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলকে বিএনপি বলেছে- এ সরকারের অধিনে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এই কথা বারবার বলে আসছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও বলেছিল পরে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। আমি আশা করব এবারও তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’
বিএনপি নির্বাচনে আসুক সরকার তা চায় কিনা এ প্রশ্নে হাছান বলেন, ‘আমরা চাই তারা নির্বাচনে আসুক, সে জন্যই আমরা তাদের বারংবার আহ্বান জানাচ্ছি। কিন্তু তারা নাচতে না জানলে উঠান বাঁকার মতো বলে যে, নির্বাচনের পরিবেশ নাই এ জন্য আমি নাচবো না, অর্থাৎ নির্বাচনে অংশ নেব না। তারা যদি এতই জনপ্রিয় হয়, নির্বাচনে আসুক।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আর আমাদের সংবিধান অনুযায়ী, স্বচ্ছ নির্বাচনী আইন অনুযায়ী নির্বাচনকালীন তো সরকারের কার্যত কোনো ক্ষমতা থাকে না, একজন কনস্টেবল বা এসিল্যান্ড বদলির ক্ষমতাও থাকে না। এই ব্যবস্থার ওপর যদি তাদের আস্থা না থাকে, তাদের আসলে দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র কোনো কিছুর ওপর আস্থা নেই। দেশের ওপর আস্থা না থাকার কারণেই তো মির্জা ফখরুল সাহেব বলেন- পাকিস্তানই ভাল ছিল।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়া যাতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা পান সেজন্য সরকার আন্তরিক এবং যত ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন সেটি করছে। দেশের সবচেয়ে ভালো একটি হাসপাতালে তার ইচ্ছা অনুযায়ী তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে এটিও বলা হয়েছে, যদি কোনো বাইরের ডাক্তারও আনার প্রয়োজন পড়ে তারা আনতে পারেন। আর বিদেশ পাঠানো, সেটি আদালতের এখতিয়ার। যদি তাদের সেটাই করতে হয় তাহলে তারা আদালতে শরণাপন্ন হতে পারেন।’
বঙ্গবন্ধু বায়োপিক প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কীভাবে খোকা থেকে শেখ মুজিব, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হলেন সেটিও এই ছবির মধ্যে উঠে এসেছে। ভারতের পুরো টিম আসছে। এই ছবি মানুষ দেখবে। এই ছবি জাতিকে নাড়া দেবে। আমি হল মালিকদের ধন্যবাদ জানাই, দেশের প্রায় সব কটি হলে প্রায় ২০০ পর্দায় একসঙ্গে এই ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে এবং সবাইকে অনুরোধ জানাবো হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখার জন্য।’
