বিশ্বের বাসযোগ্য শহরের তালিকায় ১৭৩টি দেশের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৬৬। তালিকায় এ নগরীর অবস্থান নিচের দিক থেকে সপ্তম।
আজ বৃহস্পতিবার ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) প্রকাশিত দ্য গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স ২০২৩ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২২ সালের সূচকেও বাসযোগ্য শহরের তালিকায় নিচের দিক থেকে সপ্তম ছিল ঢাকা। গত বছর ১৭২টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল ১৬৬তম।
ইআইইউর সূচক অনুযায়ী, এ বছর বাসযোগ্য শহরের তালিকার শীর্ষে আছে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা।
বসবাসযোগ্য শহরের পরিমাপ করা হয়েছে পাঁচটি ক্যাটাগরি বা দিক বিবেচনা করে। সেগুলো হলো স্থায়িত্ব, স্বাস্থ্য পরিচর্যা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো।
তালিকার শীর্ষে থাকা ভিয়েনার পর আছে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন; অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ও সিডনি; কানাডার ভ্যাঙ্কুভার; সুইজারল্যান্ডের জুরিখ; কানাডার ক্যালগেরি; সুইজারল্যান্ডের জেনেভা; কানাডার টরন্টো। আর যৌথভাবে ১০ নম্বরে রয়েছে জাপানের ওসাকা ও নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড।
তালিকার শেষের দিক থেকে আছে সিরিয়ার দামেস্ক, লিবিয়ার ত্রিপোলি, আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স, নাইজেরিয়ার লাগোস, পাকিস্তানের করাচি, পাপুয়া নিউগিনির পোর্ট মোর্সবি, বাংলাদেশের ঢাকা, জিম্বাবুয়ের হারারে, ইউক্রেনের কিয়েভ ও ক্যামেরুনের দৌয়ালা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-পরবর্তী সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত বাসযোগ্যতার এ জরিপ হয়েছে। কিয়েভ বাদ দিয়ে বিশ্বের ১৭২টি নগরীর গড় স্কোর এখন ৭৬ দশমিক ২। গত বছর এ স্কোর ছিল ৭৩ দশমিক ২। গত ১৫ বছরের মধ্যে এ স্কোর সবচেয়ে বেশি। সব কটি ক্যাটাগরির মধ্যে স্বাস্থ্য খাত অপেক্ষাকৃত বেশি উন্নতি করেছে। আর শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ এবং অবকাঠামোয় সামান্য উন্নতি আছে। তবে স্থায়িত্বের দিকটির অবনতি হয়েছে। দুর্নীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের অসন্তোষের কারণেই এটা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।