বাংলাদেশকে ১২৫ রানের লক্ষ্য দিল জিম্বাবুয়ে

0
30
জিম্বাবুয়ে
সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখে আজ থেকে শুরু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। যেখানে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারীদের হারাতে বাংলাদেশের দরকার ১২৫ রান।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মেহেদী নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে সরাসরি বোল্ড করে ফেরান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেগ আরভিনকে (০)। পরের ওভারে তিন বাউন্ডারিসহ ১৩ রান হজম করেন শরিফুল। এরপর তাসকিন এসে রানের চাকায় লাগাম টানেন।
পঞ্চম ওভারে নিজের প্রথম ওভার করতে আসেন সাইফউদ্দিন। ওভারের শেষ বলে জিম্বাবুয়ের অভিষিক্ত ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বিকে (১৪) বিদায় করেন তিনি। উইকেট পতনের মিছিল এরপর চলতেই থাকে। ষষ্ঠ ওভারে ফের বল হাতে নেন মেহেদী। এবার প্রথম বলেই রান আউটের শিকার হন ব্রায়ান বেনেট (১৬)। পরের বলেই মেহেদীকে সুইপ করতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন সিকান্দার রাজা। ১ বল খেলেই ০ রানে আউট হন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। এতে টানা তিন বলেই ৩ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
পরের ওভারে পেসার তাসকিন আহমেদও পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন। প্রথম বলে ফিরিয়েছেন উইলিয়ামসকে (০)। পরের বলে রিশাদকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বার্ল (০)। এতে ৯ বলের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ৮ম ওভারে লুক জঙ্গিকে (২) তাওহিদ হৃদয়ের ক্যাচ বানান সাইফউদ্দিন। এতে ৪১ রানে ৭ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
৪১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কায় ছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু ৮ম উইকেটে মাসাকাদজা–মানদান্দের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে জিম্বাবুয়ে। একশ’ রান করতে পারবে কিনা সেটা নিয়েই শঙ্কায় ছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু মানদান্দে-মাসাকাদজার জুটিতে একশ’ পার হয় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১১৬ রানে মানদান্দেকে ফিরিয়ে মাসাকাদজার সঙ্গে তার ৭৫ রানের জুটি ভাঙল তাসকিন। ৬টি চারে ৩৯ বলে ৪৩ রানে আউট হলেন মানদান্দে।
শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে মুজারাবানিকে (১) বোল্ড করেন সাইফউদ্দিন। এটি সাইফউদ্দিনের তৃতীয়। শিকার ক্রিজে জিম্বাবুয়ের শেষ জুটি মাসাকাদজা ও এনগারাভা। শেষ পর্যন্ত ১২৪ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের টার্গেট ১২৫ রান। স্বাগতিক বোলারদের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেছেন দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও তাসকিন আহমেদ। এ ছাড়া দুটি উইকেট শিকার করেছেন মেহেদী।
এই ম্যাচ দিয়েই টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হল ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের। প্রথম ম্যাচ খেলতে নামেন জিম্বাবুয়ের জয়লর্ড গাম্বিও।
বাংলাদেশের একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্রেগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, ব্রায়ান বেনেট, শন উইলিয়ামস, ক্লাইভ মানদান্দে (উইকেটকিপার), লুক জঙ্গি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.