স্কটল্যান্ডের সৈকতে ৫৫টি পাইলট তিমির মৃত্যু

0
111
একটি নারী তিমির বাচ্চা প্রসবে সমস্যা হতে দেখে অন্য তিমিগুলো এটিকে অনুসরণ করে সৈকতে উঠে আসে, ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ডের আইল অব লুইস দ্বীপের সৈকতে ভেসে আসা ৫৫টি পাইলট তিমির মৃত্যু হয়েছে। গত কয়েক দশকের মধ্যে একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি তিমি ভেসে এল।

গত রোববার সকালে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পারে। তারা বেঁচে থাকা এক ডজনের বেশি তিমিকে আবার সমুদ্রে পাঠানোর উদ্যোগ নিলেও ব্যর্থ হয়। পরে বেঁচে থাকা তিমিগুলো যাতে আর কষ্ট না পায়, সে জন্য এগুলোকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন উদ্ধারকারী ব্যক্তিরা। মোট ৫৫টি তিমি মারা যায় আর ১টি বেঁচে ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সৈকতের বালুচরে বেঁচে থাকা তিমিগুলোর গায়ে ভেজা কাপড় দিয়ে একটু আরাম দেওয়ার চেষ্টা করেন সামুদ্রিক প্রাণী উদ্ধারকারীরা
সৈকতের বালুচরে বেঁচে থাকা তিমিগুলোর গায়ে ভেজা কাপড় দিয়ে একটু আরাম দেওয়ার চেষ্টা করেন সামুদ্রিক প্রাণী উদ্ধারকারীরা, ছবি: রয়টার্স

সামুদ্রিক প্রাণী উদ্ধারকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ ডাইভার্স মেরিন লাইফ রেসকিউ (বিডিএমএলআর) জানায়, একটি নারী তিমির বাচ্চা প্রসবে সমস্যা হতে দেখে অন্য তিমিগুলো এটিকে অনুসরণ করে সৈকতে উঠে আসে।

বিডিএমএলআর জানায়, পাইলট তিমি প্রজাতির নিজেদের মধ্যে বন্ধন বেশ জোরালো। যখন একটি তিমি কোনো সমস্যায় পড়ে বা ভেসে আসে, তখন অন্যরা এটিকে অনুসরণ করে।

স্কটিশ ম্যারিন অ্যানিমেল স্ট্র্যান্ডিং স্কিম (এসএমএএসএস) জানায়, তিমিগুলো কেন ভেসে এসেছে, তা জানতে মৃত তিমিগুলোর ময়নাতদন্ত শুরু করবে।

সৈকতে পরে আছে একটি মৃত তিমি, ছবি: রয়টার্স

এসএমএএসএস ইনস্টাগ্রামে এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আগামী কয়েক দিন আমরা মৃত তিমিগুলোর নমুনা সংগ্রহ করব। এর পাশাপাশি এই প্রাণীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে এবং এগুলো কেন ভেসে এল, তা জানতে ময়নাতদন্তের মধ্য দিয়ে অনেক তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

রয়টার্স

লন্ডন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.