গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতা চালানোর ছয় মাস পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৭ এপ্রিল শুরু হওয়া বিক্ষোভ ছড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলবিরোধী এই বিক্ষোভ। গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবির পাশাপাশি বেশ কিছু দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছেন তারা। একজোট হয়ে ফিলিস্তিনকে বার্তা দিচ্ছেন- আমরা তোমাদের পাশে আছি।
ইতিমধ্যে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এই অস্থিরতার মধ্যে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে, শ্রেণিকক্ষে পাঠদান থেমে গেছে, গ্রেপ্তার হয়েছে অনেক শিক্ষার্থী এবং গোটা জাতির নজর এখন এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে।
প্রকাশিত বিভিন্ন ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সহিংস পন্থায় আটক করছে পুলিশ। এসব ঘটনায় ক্ষোভ আরও বেড়েছে। কিন্তু ক্রমেই ছড়িয়ে পড়তে থাকা বিক্ষোভ প্রশমনে খুব সামান্যই ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাস অনুযায়ী বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সুনির্দিষ্ট দাবির ভিন্নতা থাকলেও তাদের মূল দাবি হল ইসরায়েল সংযুক্ত কোম্পানি বা ব্যবসার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পর্ক ছিন্ন করা ও বিনিয়োগ বন্ধ করা। এছাড়া গাজায় যুদ্ধবিরতিকে সমর্থনের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভে অনড় থাকা।
এদিকে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে সেন্ট্রাল লন্ডনে হাজার হাজার মানুষের সমাবেত হয়েছেন। সেখানে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইন (পিএসডি) এর পরিচালক বেন জামাল বলেছেন, তাদের আন্দোলন দুটি প্রধান বার্তা দিতে চায়।
এর একটি হলো- ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য। তাদেরকে সংহতি জানিয়ে আমরা বলতে চাই, ‘আমরা তোমাদের দেখছি, শুনছি, পাশে আছি।’
জামাল বলেন, দ্বিতীয় বার্তাটি হলো- ব্রিটিশ রাজনৈতিক সংস্থাগুলোর জন্য। ‘গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের অবসান ঘটানো হবে।’
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় চলছে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই হামলায় উপত্যকাটিতে নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। যাদের বেশির ভাগই শিশু ও নারী। এর প্রতিবাদে সপ্তাহখানেক আগে প্থম কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।