প্রবাসী আয়ে সুখবর, জানুয়ারিতে এল ১৯৬ কোটি ডলার

0
197
মার্কিন ডলার, ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, ডলার–সংকটের কারণে অনেক আমদানি দায়ের পরিশোধ পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে প্রবাসী আয়ের ডলার কেনা হচ্ছে। এর ফলে প্রবাসী আয় বেড়েছে। ডলারের দামের সীমা তুলে দিলে সংকট অনেকটা কেটে যাবে।

জানা গেছে, গত বছরের জানুয়ারিতে আয় এসেছিল ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় বেড়েছে। গত বছরের জুলাই ও আগস্টে প্রতি মাসে ২০০ কোটি ডলারের বেশি আয় এসেছিল। তখন ব্যাংকগুলো ১২০ টাকা দরেও প্রবাসী আয় কিনেছিল।

গত সেপ্টেম্বর থেকে বেসরকারি খাতের রপ্তানি, আমদানি ও প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করছে ব্যাংকগুলোর সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রার ডিলারদের সংগঠন বাফেদা। প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে এখন প্রতি ডলারের বিপরীতে মিলছে ১০৭ টাকা। আর আমদানির দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গড়ের চেয়ে ৫০ পয়সা বেশি।

বর্তমানে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম ১০৭ টাকা আর রপ্তানি আয়ে  দাম ১০২ টাকা। সেই হিসাবে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গড় দাঁড়ায় ১০৪ টাকা ৫০ পয়সা। এ গড়ের সঙ্গে ৫০ পয়সা যোগ করে ১০৫ টাকা হবে আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে ১০২ টাকা দামে।

ডলার–সংকট কাটাতে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এখন রিজার্ভ কমে হয়েছে ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার। ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.