চলমান দুর্গাপূজার শেষ পর্ব অর্থাৎ প্রতিমা বিসর্জনে বিশেষ নিরাপত্তা দেবে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ তথ্য জানিয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার মঈন বলেছে, ‘বিশেষ নিরাপত্তার জন্য যা যা প্রয়োজন সবকিছু করা হবে। পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করবে র্যাব।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিয়মিত পরিদর্শন গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। মঈন বলেন, ‘প্রতিটি বিসর্জনসহ পূজা চলাকালে সারা দেশে স্পেশাল নিরাপত্তা প্রয়োজন হলে র্যাব দেবে।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৬ অক্টোবর থেকে র্যাব বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সারা দেশে ৩২ হাজারের বেশি পূজামণ্ডপে ৪ হাজারের বেশি সদস্য সাদা পোশাক ও ইউনিফর্মে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। র্যাবের স্পেশাল বাহিনী, ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাবের স্পেশাল ফোর্স ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘র্যাব দুর্গাপূজায় এখন পর্যন্ত সফলভাবে র্যাব দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের প্রতিটি এলাকায় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। ব্যাটালিয়নের ইউনিট প্রধানরা পূজার নিরাপত্তা পরিদর্শনে যাচ্ছেন। র্যাব সদর দপ্তর থেকে এলাকাভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহল গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে র্যাবের সাইবার ইউনিট কাজ করছে।’
এখন পর্যন্ত জঙ্গি বা নাশকতার হামলা নেই জানিয়ে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা রোধে কাজ চলছে। নারী দর্শনার্থীরা যেন ইভটিজিং কিংবা হেনস্তার শিকার না হয় সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি চলমান।’
২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আল মঈন বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। বিগত সময়ে দেখেছি বিভিন্ন দল তাদের কর্মসূচি পালন করে আসছে। দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রের সম্পদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাবে র্যাব। গোয়েন্দা তৎপর চলমান আছে।’