আগেই জানা গেছে, ২০২৬ বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা বেড়ে ৩২ থেকে বেড়ে ৪৮ হবে। আর এ আসরের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো আজ ২০২৬ বিশ্বকাপের অফিশিয়াল লোগো উন্মোচনী অনুষ্ঠানে নতুন এক তথ্যও দিলেন। আগামী বিশ্বকাপে যেহেতু দলের সংখ্যা বেশি এবং ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে আয়তনে বড় তিন দেশে, তাই যাতায়াত, সময় ও পরিবেশগত পার্থক্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। এতে সমস্যায় পড়তে পারে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলগুলো। এর সমাধান অবশ্য দিয়ে দিয়েছেন ফিফা সভাপতি।
২০২৬ বিশ্বকাপে ৪ দলের ১২ গ্রুপ, ১০৪ ম্যাচ
ইনফান্তিনো জানিয়েছেন, বিশ্বকাপে শুরুর রাউন্ড গুলোয় দলগুলোকে জায়গা বুঝে তাদের জন্য সুবিধাজনক স্থানে রাখা হবে, যেখান থেকে ম্যাচ খেলতে যাতায়াত, সময় ও পরিবেশগত সুবিধা হবে। কাতার বিশ্বকাপে এই বিষয়ে এমনিতেই সুবিধা পেয়েছে সবগুলো দল। কাতারে বিভিন্ন জায়গায় খেলা হলেও দূরত্ব খুব বেশি ছিল না। ইনফান্তিনো প্রসঙ্গক্রমে সে কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘কাতারে এই সুবিধাটা ছিল। ম্যাচ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে খেলোয়াড় বিছানায় চলে যেতে পারতেন।’
তবে লস অ্যাঞ্জেলসের গ্রিফিথ অবজারভেটরিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল ২০২৬ বিশ্বকাপের লোগো। ইনফান্তিনো ও ব্রাজিলের হয়ে দুবার বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি রোনালদো এ লোগো উন্মোচন করেন। লোগোর ব্যাকগ্রাউন্ডে সাদা রংয়ে ‘২৬’ লেখা—এটা বিশ্বকাপ যে বছরে অনুষ্ঠিত হবে সে বছর। অর্থাৎ ২০২৬। বছরের ওপর মূল আকর্ষণ হিসেবে বসানো হয়েছে বিশ্বকাপের ট্রফি। এবারই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের অফিশিয়াল লোগোয় ট্রফির ও আয়োজনের সাল ব্যবহার করা হচ্ছে।
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে যা বললেন নেইমার
লোগো উন্মোচনের সঙ্গে একটি হ্যাশট্যাগ ক্যাম্পেইনও চালু করেছেন ইনফান্তিনো। ‘উই আর ২৬’ ক্যাম্পেইনের লক্ষ্যও বলে দেন ফিফা সভাপতি, ‘তিনটি দেশ ও পুরো মহাদেশের সবার একতা হয়ে এখন এটাই বলার সময় “আমরা একতাবদ্ধ হয়ে বিশ্বকে স্বাগত জানাতে এবং সর্বকালের সবচেয়ে বড় ও সেরা বিশ্বকাপ উপহার দিতে প্রস্তুত।”’ ইনফান্তিনো জানিয়েছেন, ২০২৬ বিশ্বকাপের ১৬টি ভেন্যু শহরের আলাদা ব্র্যান্ডিং করবে ফিফা।
সংবাদমাধ্যম ‘দ্য অ্যাথলেটিক’কে ফিফার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, এই লোগোর ডিজাইন করেছে ফিফার ব্র্যান্ড টিম। বাইরের এজেন্সির সহায়তাও নেওয়া হয়েছে। তবে কোন কোন এজেন্সি এই কাজ করেছে, তা বলা হয়নি। লোগোর সঙ্গে যে হ্যাশট্যাগটি ফিফা চালু করেছে, তার নাম— #উইআর২৬। ফিফার প্রত্যাশা, ২০২৬ বিশ্বকাপ এগিয়ে আসার সঙ্গে এই হ্যাশট্যাগের ব্যবহার বাড়াবেন ফুটবলপ্রেমীরা। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো উত্তর আমেরিকা মহাদেশে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। মেক্সিকো এর আগে দুইবার (১৯৭০ ও ১৯৮৬) আর যুক্তরাষ্ট্র একবার (১৯৯৪) এর আগে বিশ্বকাপের আয়োজন করেছে। কানাডা ২০২৬ সালে প্রথমবারের মতো আয়োজক হিসেবে নাম লেখাবে।