যুদ্ধ নিয়ে ‘ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের’ মধ্যে ক্রেমলিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘বিকল্প খুঁজছে’ বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনের গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মুখপাত্র আন্দ্রি ইউসভ বলেন, পুতিনের চারপাশ ক্রমে ছোট হয়ে আসছে। বিশ্বে তো বটেই, রাশিয়ার মধ্যেও পুতিন ‘বিষাক্ত’ হয়ে উঠছেন।
তিনি বলেন, ক্রেমলিনে যা ঘটছে, তা আরও অসন্তোষের। সেখানে পুতিনের বিকল্প খোঁজা হচ্ছে।
তবে রাশিয়া পুতিনের বিকল্প খুঁজছে বলে দাবি করলেও এক্ষেত্রে সম্ভাব্য কোনো প্রার্থীর নাম উল্লেখ করেননি ইউক্রেনের গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মুখপাত্র আন্দ্রি ইউসভ।
এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্কের শহর মারিউপোলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আকস্মিক সফরের সমালোচনা করেছে কিয়েভ। পুতিনের এই সফর রাতের আঁধারে হওয়ায় এটিকে ‘চোরের মতো’ পরিদর্শন বলে অভিহিত করেছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কটাক্ষ করে বলেছে, রাতে সফর করায় পুতিনের জন্য বেশি নিরাপদ হয়েছে। এ ছাড়া শহরটিকে যে রুশ বাহিনী সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে, অন্ধকারে তিনি তা বুঝতে পেরেছেন। আসলে এই অন্ধকারই তিনি দেখতে চান।
প্রসঙ্গত, শনিবার হেলিকপ্টারে করে মারিউপোলে আকস্মিক সফরে যান পুতিন। সেখানে সেনাঘাঁটিসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। গত বছর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর অঞ্চলটিতে এটিই তাঁর প্রথম সফর।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানায়, পুতিন গাড়ি চালিয়ে শহরটি ঘুরে দেখেন। বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শনকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন। একই সঙ্গে শহরের পুনর্গঠন কাজের বিষয়ে খোঁজখবর নেন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে।
রুশ গণমাধ্যম জানায়, পুতিন একটি নতুন আবাসিক এলাকা পরিদর্শন করেন। দখলে নেওয়ার পর গত সেপ্টেম্বরে ওই এলাকাটি রুশ সামরিক বাহিনী নির্মাণ করেছে। সেখানকার এক নারীকে পুতিন জিজ্ঞেস করেন, তিনি এখানকার বাসিন্দা এবং আবাসিক এলাকাটি তাঁর পছন্দ হয়েছে কিনা? জবাবে ওই নারী বলেন, খুব পছন্দ হয়েছে। এটি যেন স্বর্গের এক ছোট্ট টুকরো। এ সময় ওই নারী পুতিনের হাত ধরে শহরটি ‘জয়’ করার জন্য ধন্যবাদ জানান। রুশ কর্মকর্তারা পুতিনকে জানান, বাসিন্দারা এলাকাটিতে ফিরে আসতে শুরু করেছে। মারিউপোল পরিদর্শন শেষে দক্ষিণ রাশিয়ার রোস্তভ যান পুতিন।